বরিশালের বানারীপাড়ায় এক রাতে তিনটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। লুট হয়েছে স্বর্নালঙ্কার, গুলিসহ বন্দুক, টাকা, ডলারসহ মূল্যবান মালামাল।
বানারীপাড়ার সলিয়াবাকপুর ও চাখার এলাকায় বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত পৃথক তিনটি ডাকাতি হয়।
সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গেছেন বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি এহসান উল্লাহ, পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেনসহ পুলিশ কর্মকর্তারা। সিআইডি পরিদর্শক মামুনুর রশিদ ও ডিবির পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক বাড়িগুলো থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছেন।
পুলিশ জানায়, বুধবার দিনশেষে যখন সলিয়াবাকপুরের কাজী কামরুজ্জামানের পরিবার সদস্যরা ঘুমিয়ে ছিলেন তখন রাত দুইটার দিকে ডাকাতদল হানা দেয়। দোতলা বাড়ির পেছনের গ্রিল কেটে ডাকাতরা ভেতরে ঢোকে।
বাড়ির নীচতলায় থাকেন মালিকের মা জাহানারা বেগম। বয়স্ক এ নারীর হাত-পা ও মুখ বেধে ফেলে ডাকাতরা। পাশে থাকা গৃহকর্মী ময়না ও জান্নাতকে বেধে ডাকাতদল শুরু করে মূল্যবান মালামাল লুট। এরপর ডাকাতরা দোতলায় উঠে বাড়ি মালিকের দরজা ভেঙ্গে তাকেও বেধে ফেলে।
১০/১২ জনের ডাকাত দল বাড়িটির আলমারিতে থাকা একটি শর্টগান, ১৫ রাউন্ড গুলি, ১০ লাখ টাকা ও ১২ ভরি স্বর্নালঙ্কার নিয়ে যায় বলে পরিবার সদস্যরা জানান। ৫ টি মোবাইল ফোন ছাড়াও ডাকাতরা সিসি ক্যামেরার ডিক্সবক্স নিয়ে গেছে।
একই রাতে ডাকাতরা হানা দেয় চাখার সিকদার বাড়ির পারভীন মঞ্জিলে। সেখান থেকে ডাকাতরা ১৪ ভরি স্বর্নালঙ্কার, লক্ষাধিক টাকা ও ইউএস ডলার নিয়ে যায়। বাড়িটির মালিক পারভীন বেগম আমেরিকা প্রবাসী। কয়েকদিন আগে তিনি বাড়িতে আসেন।
এ রাতেই ডাকাতদল ঢুকেছিল চাখার সাব-রেজিস্টার অফিসে। সেখানে দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢোকার পর ডাকাত দল একটি পেনড্রাইভ নিয়ে গেছে বলে জানান স্টাফরা। সেটিতে কী ধরণের তথ্য ছিল তা জানা যায়নি।
বরিশালের অতিরিক্ত ডিআইজি এ কে এম এহসান উল্লাহ বলেন, ‘সব ধরণের চেষ্টা চলছে। লুট হওয়া অস্ত্র ও মালামাল উদ্ধারের পাশাপাশি ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।’