বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ১২৩৩ কোটি টাকা দেবে এডিবি

  •    
  • ১ এপ্রিল, ২০২২ ০০:৩৫

এডিবি প্রধান অর্থনীতিবিদ তাদাতেরু হায়াশি বলেন, ‘এই সহায়তা শিল্পায়ন এবং বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে সরকারের লক্ষ্যকে সমর্থন করে। প্রকল্পটি রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণ এবং নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করতে সহায়তা করবে। এশিয়ার দেশগুলোর বাজারে রপ্তানি বাড়াতে সহায়তা করবে।’

বাংলাদেশের বাণিজ্য সক্ষমতা বাংলাদেশকে ১৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার ঋণসহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে উন্নয়ন সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি। বর্তমান বিনিময়হার (প্রতি ডলার ৮৬ টাকা ২০ পয়সা) হিসাবে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ২৩৩ কোটি টাকা।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে এই সহায়তা অবদান রাখবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই ঋণ অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এই অর্থ বাংলাদেশের বাণিজ্য সক্ষমতা বাড়াতে ব্যয় করা হবে; একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হবে। যার আওতায় আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যের দক্ষতা, পূর্বাভাসযোগ্যতা এবং নিরাপত্তার উন্নতির মাধ্যমে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করবে।

এডিবি বলেছে, বাংলাদেশ রপ্তানির গুণগত মান উন্নয়ন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা চুক্তি সই এবং সীমান্ত এজেন্সি ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের মধ্যে আরও ভালো সমন্বয়ের মাধ্যমে বাণিজ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাণিজ্য সুবিধার কৌশলগুলো চালিয়ে যাচ্ছে।

এই অর্থে যে প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে, তা বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়াতে আরও সহায়তা করবে জানিয়েছেন এডিবি প্রধান অর্থনীতিবিদ তাদাতেরু হায়াশি।

তিনি বলেন, ‘এডিবির সহায়তা শিল্পায়ন এবং বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করাতে সরকারকে সহায়তা করবে। প্রকল্পটি রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণ এবং নতুন নতুন রপ্তানি বাজার খুঁজে বের করতে সহায়তা করবে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বাজারে রপ্তানি বাড়াতে সহায়তা করবে।’

‘এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও বাড়বে।’

এই ঋণের ৯ কোটি ডলার বাংলাদেশের শুল্ক আইনি কাঠামোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত, কার্গো ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়ার উন্নতি এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সক্ষমতা জোরদার করাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারে সহায়তা করবে।

প্রকল্পের ৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার আখাউড়া, সোনামসজিদ এবং তামাবিল সীমান্ত ক্রসিং পয়েন্টে, এনবিআর এবং বাংলাদেশ ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির সমন্বিত স্থল শুল্ক স্টেশন এবং স্থলবন্দর নির্মাণ করা হবে।

আর ১৫ লাখ ডলার ব্যয় করা হবে প্রযুক্তিগত উন্নয়নে। শুল্ক আইনি কাঠামোর আধুনিকীকরণ, সীমান্ত সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শুল্ক কার্যক্রম বাস্তবায়ন, এনবিআরের সক্ষতা বৃদ্ধিসহ শুল্ক ও বাণিজ্য বিষয়ক অন্য সব কাজে প্রযুক্তির সন্নেবেশ ঘটানো হবে।

এ বিভাগের আরো খবর