ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বিবাদমান দুই পক্ষের নেতৃত্বে চার গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় দুটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং ১৩টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের পুখুড়িয়া, ব্রাহ্মণকান্দা, খা কান্দা ও নাজিরপুর গ্রামের বাসিন্দারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
বিকেল ৫টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের এক হাজারের বেশি মানুষ ঢাল, সড়কি, বল্লম, টেঁটা ও ইট নিয়ে পাল্টাপাল্টি হামলা চালান।
পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী জানান, দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে। মানিকদহ ইউপির সাবেক সদস্য পুখড়িয়া গ্রামের করিম মাতুব্বর এবং ব্রাহ্মনকান্দা গ্রামের ইয়াকুব আলী মিয়া এক পক্ষে নেতৃত্ব দেন। অপর পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন পুখরিয়ার তুহিন খা ও খাকান্দা গ্রামের কালাম মোল্লা।স্থানীয়রা জানান, সংঘর্ষের সময় তুহিন খা ও কালাম মোল্লার সমর্থক খাকান্দার সেকেন ভুইয়া ও পুখড়িয়ার হারুন মিয়ার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এ ছাড়া উভয় পক্ষের অন্তত ১৩টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি গরু লুট করা হয়।
পুলিশ জানায়, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে তারা বিকেল ৫টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ এ পর্যন্ত লুটপাট করা চারটি গরু উদ্ধার করেছে।
এলাকাবাসী জানায়, এই দুই পক্ষের মধ্যে প্রাধান্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত কয়েক বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর আগেও কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তখন পুলিশ ঘরে ঘরে তল্লাশি করে অস্ত্রও উদ্ধার করেছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) ফাহিমা কাদের চৌধুরী জানান, পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কি পরিমাণ গুলি ও গ্যাস সেল ছোড়া হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা সম্ভব হয়নি।