বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘সাকিবের ফার্মে’র জমি ফেরত চেয়ে মানববন্ধন

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩১ মার্চ, ২০২২ ২২:৫৩

মালিকদের অভিযোগ, ২০২০ সালে ফার্মের মূল ফটক থেকে সাকিব আল হাসানের নাম মুছে ফেলা হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি জমির মালিকদের অগোচরে অন্যত্র হস্তান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে।

সাতক্ষীরা শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নামে প্রতিষ্ঠিত এগ্রো ফার্মের ইজারার টাকা অথবা জমি ফেরত পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন মালিকরা।

বৃহস্পতিবার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন দাতিনাখালীতে ফার্মটির সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

সেখানে অংশ নেয়া জমির মালিকরা অভিযোগ করেন, ‘পাঁচ বছরের চুক্তি শেষ হওয়ার পর আরও দুই বছর পার হলেও টাকা ও জমি ফেরত পাচ্ছেন না তারা। এতে ৪০ বিঘা জমির অন্তত ১৬ জন মালিক মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

মানববন্ধনে জমির মালিকরা জানান, ২০১৬ সালে ১২ হাজার টাকা বার্ষিক চুক্তিমূল্যে জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সগীর হোসেন পাভেল ও ব্যবসায়ী এমদাদের সঙ্গে ডিডের মাধ্যমে সাকিব আল হাসান এগ্রো ফার্মের নামে জমি লিজ দেন তারা। এর মেয়াদ ছিল ২০২০ সাল পর্যন্ত।

তারা জানান, চুক্তির মেয়াদ দুই বছর আগে শেষ হয়ে গেলেও পরবর্তী সময়ের জন্য জমির মালিকদের ইজারার টাকা দেয়া হয়নি। একই সঙ্গে জমিও ফেরত দিচ্ছে না প্রতিষ্ঠানটি। এ নিয়ে ২০২০ সালেও জমির মালিকদের আগের টাকা আদায়ের জন্য আন্দোলনে নামতে হয়েছিল।

জমির মালিকদের অভিযোগ, ওই সময় ফার্মের মূল ফটক থেকে সাকিব আল হাসানের নাম মুছে ফেলা হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি জমির মালিকদের অগোচরে অন্যত্র হস্তান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে।

এদিকে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সগীর হোসেন পাভেল বলেন, ‘বর্তমানে ফার্মটির সঙ্গে সাকিব আল হাসান আর নেই। আমরা যাবতীয় পাওনা মিটিয়ে দেয়ার জন্য দুই মাস সময় চেয়েছিলাম। তবে তার আগেই জমির মালিকরা এসব করছে।’

রপ্তানিমুখী কাকড়া উৎপাদনের জন্য ২০১৬ সালে সুন্দরবন সংলগ্ন দাতিনাখালীতে সাকিব আল হাসান এগ্রো ফার্ম নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সগীর হোসেন পাভেল ও ব্যবসায়ী এমদাদ।

প্রতিষ্ঠানটিতে অন্তত ২০০ মানুষের কর্মসংস্থান হয়। এর আগে ২০২০ সালে বকেয়া বেতনের দাবিতে কর্মচারীরা আন্দোলনে নামলে বিসিবির হস্তক্ষেপে ও স্থানীয় ক্রীড়াবিদদের মধ্যস্থতায় কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর