বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাঠ্যবইয়ে অমুসলিমদের হেয় করার অভিযোগ কতটা সত্য?

  •    
  • ৩১ মার্চ, ২০২২ ১৮:০৯

এনসিটিবি সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ গত দুই বছর ধরে আমরা দেখছি। এর কারণ হলো, সংঘবদ্ধ একটি চক্র যখন কোনো ইস্যু পায় না, তখন পুরোনো বিষয় সামনে এনে জনগণকে বিভ্রান্ত করে, আর এর ফাঁদে পা দেয় সাধারণ কিছু মানুষ।’

‘‘সরকারি পাঠ্যবইয়ে অমুসলিমদের তুলে ধরা হয়েছে মিথ্যাবাদী, সম্পদ আত্মসাৎকারী এমনকি ‘পশুর চেয়ে অধম’ হিসেবে। পঞ্চম শ্রেণির ‘ইসলাম ধর্ম ও নৈতিকতা শিক্ষা’ বইয়ের ১৬ ও ১৭ নম্বর পৃষ্ঠায় এভাবেই অমুসলিমদের পরিচয় দেয়া হয়েছে।’’

এ ধরনের একটি স্ট্যাটাস কয়েক দিন ধরে ঘুরছে ফেসবুকে। অনেকেই শেয়ার করছেন বার্তাটি।

বিষয়টির সত্যতা যাচাই করেছে নিউজবাংলা। এতে দেখা গেছে, এ ধরনের কোনো লেখা বর্তমানের (২০২২ সালের) পঞ্চম শ্রেণির ‘ইসলাম ও নৈতিকতা শিক্ষা’ পাঠ্যবইয়ে নেই।

তবে ২০১৯ সালের পাঠ্যবইয়ে এ ধরনের কিছু বার্তা ছিল, যা পরের বছরই সংশোধন করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এই বই ছাপানোয় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়া হয়।

এনসিটিবি সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ গত দুই বছর ধরে আমরা দেখছি। এর কারণ হলো, সংঘবদ্ধ একটি চক্র যখন কোনো ইস্যু পায় না, তখন পুরোনো বিষয় সামনে এনে জনগণকে বিভ্রান্ত করে আর এর ফাঁদে পা দেয় সাধারণ কিছু মানুষ।

‘দুঃখজনক হলেও সত্য, অসাবধানতাবশত যারা এগুলো ছড়াচ্ছেন, তারা কখনও মূল বই ঘেঁটেও দেখেন না। কিছু জ্ঞানপাপী সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এ ধরনের কাজ করেন।’

বিভ্রান্তিমূলক এ ধরনের বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেও মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘যারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ ধরনের বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়াচ্ছে, তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত। এ ধরনের কাজ দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার গভীর ষড়যন্ত্র।’

২০১৯ সালের পঞ্চম শ্রেণির ‘ইসলাম ধর্ম ও নৈতিকতা শিক্ষা’ বই প্রণয়নে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল বলেও জানান মো. মশিউজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালে বিষয়টি জানার পর এনসিটিবি থেকে এ বইয়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়। তাদের কেউ এখন আর এনসিটিবির কোনো কাজে জড়িত নেই এবং পরের বছরেই বিষয়টি সংশোধন করা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর