শেরপুর সদরে প্রাইভেট পড়ানোর ঘরে ডেকে নিয়ে ছাত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগে কলেজের শিক্ষক ও তার বাড়িওয়ালাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ভোরে নকলা পৌর শহর থেকে শিক্ষক জুবায়ের হোসেনকে ও জেলা শহরের মধ্য গৌরীপুর এলাকার ওই কোচিং সেন্টার থেকে বাড়িওয়ালা লুৎফর রহমানকে আটক করা হয়। সদর থানায় ওই কলেজছাত্রী সকালে মামলা করলে তাতে দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনসুর আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার জুবায়ের হোসেন নকলা ছবরুননেছা মহিলা কলেজের শিক্ষক। তার বাড়িও নকলায়। তবে জেলা শহরের মধ্য গৌরীপুরে লুৎফরের বাড়ির একটি ঘর ভাড়া নিয়ে তিনি প্রাইভেট পড়ান।
ওই কলেজছাত্রীর বরাতে ওসি মুনসুর জানান, তার মা-বাবা চিকিৎসার জন্য ভারত গেছেন। বুধবার জুবায়ের তাকে কল দিয়ে কোচিং সেন্টারে যেতে বলেন। মেয়েটি সন্ধ্যায় সেখানে গেলে জুবায়ের, বাড়ির মালিক লুৎফর ও মো. রাহাত নামে আরেকজন তাকে ধর্ষণ করেন। মেয়েটি পুরো ঘটনা স্বজনদের জানালে নকলা থানায় অভিযোগ করেন তারা। ওই থানা থেকে বিষয়টি সদর থানা পুলিশকে জানানো হয়।
ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার বাড়িওয়ালা। ছবি: নিউজবাংলা
ওসি জানান, ঘটনা জানার পর পরই ভোরে ওই দুজনকে আটক করা হয়। তবে রাহাত আগেই পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটি সদর থানায় গিয়ে মামলা করেন।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিক জানান, মেয়েটির জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে।