বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুপ্রিম কোর্টে মামলার জট কমবে, আশা আইনমন্ত্রীর

  •    
  • ৩১ মার্চ, ২০২২ ১৩:২৯

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন আশাবাদী যে, সুপ্রিম কোর্টে বিচারপ্রার্থী জনগণ দ্রুত ন্যায়বিচার পাবেন এবং এর মাধ্যমে সেখানে মামলাজট কমে আসবে।’

তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আইন প্রণয়ন, নতুন ভবন নির্মাণ, আইনজীবীদের জন্য অর্থ বরাদ্দ করাসহ ‘যুগান্তকারী পদক্ষেপের ফলে’ সুপ্রিম কোর্টে বিচারপ্রার্থী জনগণ দ্রুত ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সরকারের নেয়া উদ্যোগে মামলার জট কমে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের নবনির্মিত ১২ তলা ভবন ‘বিজয়-৭১’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন আশাবাদী যে, সুপ্রিম কোর্টে বিচারপ্রার্থী জনগণ দ্রুত ন্যায়বিচার পাবেন এবং এর মাধ্যমে সেখানে মামলাজট কমে আসবে।’

তিনি বলেন, “গর্বের সাথে বলতে হয়, ১৯৭২ সালের ১৩ জন বিচারকের বিপরীতে বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের ৯৪ জন বিচারক নির্ভয়ে ও স্বাধীনভাবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অবকাঠামোর ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই, ২০০১ সালে এনেক্স ভবন উদ্বোধন করার পূর্বে সুপ্রিম কোর্টে মাত্র ২৭টি এজলাস কক্ষের ব্যবস্থা ছিল এবং তা ছিল সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনে, কিন্তু ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার সরকার গঠন করলে তার পিতার হাতে গড়া এ প্রতিষ্ঠানে তিনি ৩৫টি এজলাসের সংস্থান সংবলিত এনেক্স ভবন নির্মাণ করে দেন এবং ২০০১ সালের জানুয়ারি মাসে তা স্বয়ং উদ্বোধন করেন।

“‘বিজয়- ৭১’ নামে যে ভবন উদ্বোধন করা হচ্ছে, সেখানেও অতিরিক্ত ৩২টি এজলাসের ব্যবস্থাসহ মাননীয় বিচারপতিগণের জন্য ৫৬টি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত চেম্বারের সংস্থান রাখা হয়েছে।”

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহ ও দিক নির্দেশনা, সুপ্রিম কোর্টের নিরলস পরিশ্রম, আইনজীবীগণের সহযোগিতা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে আমরা খুবই তাড়াতাড়ি ভার্চুয়াল কোর্ট চালু করতে পেরেছিলাম, যা বিশ্বের অনেক বড় বড় ও উন্নত দেশ পারেনি। সেই লকডাউনের সময়ে ভার্চুয়াল কোর্টে জামিন শুনানির ব্যবস্থা করার ফলেই কিন্তু জেলখানায় বন্দি আসামিদের অতিরিক্ত চাপ এবং করোনার ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘গোটা বিচার বিভাগকে ডিজিটালাইজ করার জন্য আমরা ২ হাজার ২০০ কোটি টাকার ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছি। আমরা আশা করছি, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পুরো বিচার বিভাগের কর্মদক্ষতা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।

‘মানসম্পন্ন ন্যায়বিচার প্রদানের ক্ষেত্রে বিচারকগণের নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও আর্থিক স্বচ্ছলতা একটি নিয়ামক ভূমিকা পালন করে থাকে। সে জন্য মাননীয় বিচারপতিগণের আর্থিক সুবিধাদি বৃদ্ধিসহ তাদের নিরাপত্তা ও বিচারিক কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকার সহায়ক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ফলে মাননীয় বিচারপতিগণ নির্ভয়ে ও স্বাধীনভাবে ন্যায়বিচার প্রদান করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জেলহত্যা মামলা, ১৯৭১-এর মানবতাবিরোধী অপরাধ ও ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল মামলার বিচার করে দেশ থেকে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করতে সক্ষম হয়েছেন; পঞ্চম ও সপ্তম সংবিধান সংশোধন আইন বাতিলের সাহস দেখিয়েছেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বিজ্ঞ আইনজীবীগণ বিচার বিভাগের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের বিচ্ছিন্ন রেখে বা পেছনে ফেলে বিচার বিভাগের পুরোপুরি উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব নয়। সে কারণে আইনজীবীগণের পেশাগত মান উন্নয়নে সরকার আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

‘১১৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৫ তলা বিশিষ্ট বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ভবন নির্মাণ করে দিয়েছে, অধিকন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসে আপনার সরকারই প্রথম আইনজীবীগণের জন্য ২০ কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

এ বিভাগের আরো খবর