চুয়াডাঙ্গায় সদর উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এবার বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল পঞ্চম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রী।
উপজেলার ছোটশলুয়া গ্রামের ফার্মপাড়ায় বুধবার রাত ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূঁইয়া বলেন, ‘ছোটশলুয়া গ্রামে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে হাজির হয় সদর উপজেলা প্রশাসন।
‘এ সময় সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিরা। আমরা গিয়ে খোরশেদ আলমের মেয়ের বাল্যবিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দেই। পুনরায় যেন তিনি বাল্যবিয়ে দিতে না পারেন সে জন্য সেখানে গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়।’
ইউএনও জানান, বৃহস্পতিবার মেয়ের বাবাকে উপজেলা পরিষদে ডাকা হয়েছে। তার মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না সে মর্মে তাকে মুচলেকা দিতে হবে।
ছাত্রীর বাবা খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। মেয়েকে বেশি লেখাপড়া করাতে পারব না, তাই বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিলাম।’
এর আগে চুয়াডাঙ্গায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে দশম শ্রেণির ছাত্রের বিয়ের ঘটনা ঘটে। একটি স্কুলের শিক্ষক তার ছেলের বাল্যবিয়ে দেয়ার ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েন। এর রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বাল্যবিয়ের এ আয়োজনের ঘটনা ঘটে।