বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশ ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে যাচ্ছে

  •    
  • ৩১ মার্চ, ২০২২ ০২:২৪

ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টারঅপারেবিলিটি জরুরি। গলির দোকানেও যাতে মানুষ কিউআর কোডে (কুইক রেসপন্স কোড) লেনদেন করতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। তবে এজন্য সরকারকে অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। সেজন্য বিনিয়োগ দরকার।’

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মতো সেবা চালুর ফলে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সহজ হয়েছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। এসবের ফলে দেশ ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে যাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।

ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে বুধবার এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) ও ইআরএফ আয়োজিত যৌথ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন ড. আতিউর রহমান।

ইআরএফের সহসভাপতি ও এএফপির ব্যুারো চিফ শফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ‘ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টারঅপারেবিলিটি ইন বাংলাদেশ: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনটি পর্বে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন পিআরআইয়ের গবেষণা পরিচালক ড. আব্দুর রাজ্জাক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. বজলুল এইচ খন্দকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক দেব দুলাল রায়। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম।

‘ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টারঅপারেবিলিটি’ হচ্ছে এক ব্যবস্থা থেকে অন্য ব্যবস্থায় তথ্য আদান প্রদান বা লেনদেন করার পর, সেটিকে পরবর্তী পর্যায়ে কাজে লাগানোর সুযোগ। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এক এমএফএস কোম্পানির গ্রাহক থেকে অন্য এমএফএস কোম্পানির গ্রাহকের সঙ্গে সরাসরি লেনদেন করতে পারার সুযোগ বা এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংকের গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তরের সুযোগ। বর্তমানে যেভাবে এ ধরনের লেনদেন হয় সেটাকে ইন্টারকানেকটিভিটি বা আন্তঃসংযোগ বলা যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে এমএফএসগুলোর মধ্যে ইন্টারঅপারেবিলিটি ব্যবস্থা চালু করলেও কয়েক ঘণ্টা পরে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে আর এই সেবা চালু হয়নি।

ইআরএফের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আয়োজক ও আলোচকরা। ছবি: নিউজবাংলা

কর্মশালায় আতিউর রহমান বলেন, ‘পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টারঅপারেবিলিটি জরুরি। গলির দোকানেও যাতে মানুষ কিউআর কোডে (কুইক রেসপন্স কোড) লেনদেন করতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। তবে এজন্য সরকারকে অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। সেজন্য বিনিয়োগ দরকার।

‘প্রতিবেশি দেশ ভারত এ ধরনের ব্যবস্থা চালু করতে বিপুল বিনিয়োগ করেছে। এই বিনিয়োগ সরকার না করে কোম্পানিকে দিয়ে করালে তারা গ্রাহকদের থেকে চার্জ নেবে। গ্রাহক চার্জ দিতে আগ্রহী নাও হতে পারেন। তাতে পদ্ধতিটি দাঁড়াবে কিনা সন্দেহ আছে। এজন্য সরকারকে বাজেটে বরাদ্দ রাখতে হবে।’

সাবেক গভর্নর বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতে ইন্টারঅপারেবিলিটির অবকাঠামো দেশে তৈরি আছে। এখন দরকার ক্রস বর্ডার বা আন্তঃসীমান্ত অবকাঠামো। যাতে দেশের মানুষ বিদেশে গিয়ে নিজের কার্ড থেকে সহজে টাকা তুলতে পারে। ফ্রিল্যান্সাররা যাতে সহজে টাকা পেতে পারেন।’

তবে ক্রস বর্ডার বা আন্তঃসীমান্ত অবকাঠামো ব্যবস্থায় টাকা পাচারের ঝুঁকি আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দেশে ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টারঅপারেবিলিটি পদ্ধতি চালু হলে আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থা আরও বেশি সহজ, প্রতিযোগিতা ও উদ্ভাবনীমূলক হবে। যেসব দেশের উদ্ভাবন শক্তি যত বেশি, সেসব দেশ তত বেশি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করেছে।’

ড. বজলুল এইচ খন্দকার মনে করেন ডিজিটাল আর্থিক সেবা দারিদ্র বিমোচন ও ব্যক্তি পর্যায়ে সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করে।

দেব দুলাল রায় বলেন, ‘বাংলাদেশের আর্থিক খাতের লেনদেন ও তথ্য আদান প্রদানে যা হচ্ছে সেটি ইন্টারকানেকশন, ইন্টারঅপারেবিলিটি নয়। এখন সময় হয়েছে ইন্টারঅপারেবিলিটিতে যাওয়ার। এতে লেনদেন বহুমুখী হবে। অর্থনীতির শক্তি বাড়বে।’

এ বিভাগের আরো খবর