বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফালুর দখল করা জমি উদ্ধার, ঠিকানা পেল ৬৪ পরিবার

  •    
  • ৩১ মার্চ, ২০২২ ০২:১৪

সাভার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘২০২১ সালে এসে জানতে পারি, পাশেই অবস্থিত সিরামিক কোম্পানি জায়গাটি দখল করে আছে। যার মালিকানায় রয়েছে মোসাদ্দেক আলী ফালু। জমিটি সরকারি দখলে নিতে আসার পর এখানকার কর্মচারী, নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী আমাদের সঙ্গে বিবাদে জড়ায়। স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে আমরা উপজেলা প্রশাসন নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করি। পরে আমরা দখল নিতে সক্ষম হই।’

বিএনপি নেতা ও সাবেক এমপি মোসাদ্দেক আলী ফালুর মালিকনাধীন ঢাকা সাংহাই সিরামিক সরকারের খাস জমি দখল করেছিলেন। গত বছর দখল করা ১ একর ২০ শতাংশ খাস জমি উদ্ধার করতে পেরেছে সাভার উপজেলা প্রশাসন। সেই জমিতেই আশ্রয় পেল ভূমিহীন ৬৪ পরিবার।

তবে আশ্রয়হীনদের গৃহ দিতে শুধুর ফালুর দখল করা জমিই নয়, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ৮ একর জমি উদ্ধার করেছে প্রশাসন।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য সারা দেশে ৫ হাজার ৫১২ দশমিক ০৪ একর জমি উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মূল্য ২ হাজার ৯৬৭ কোটি ৯ লাখ টাকা।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা কমিটির সাবেক সদস্যও ছিলেন ফালু। এসব জমি উদ্ধার করতে গিয়ে বেগ পোহাতে হয় সাভার উপজেলা প্রশাসনের।

যেকোনো দখল থেকে উচ্ছেদ করে সেটি সরকারের কাছে ফিরিয়ে নেয়া সবসময় চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে সাভার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘২০২১ সালে এসে জানতে পারি পাশেই অবস্থিত সিরামিক কোম্পানি জায়গাটি দখল করে আছে। যার মালিকানায় রয়েছে মোসাদ্দেক আলী ফালু। জমিটি সরকারি দখলে নিতে আসার পর এখানকার কর্মচারী, নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী আমাদের সঙ্গে বিবাদে জড়ায়। স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে আমরা উপজেলা প্রশাসন নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করি। পরে আমরা দখল নিতে সক্ষম হই।’

নির্মাণকাজ পরিচালানার সময় তাদের (ফালুর) বাহিনীর কাছ থেকে বাধা পেয়েছি দাবি করে ইউএনও বলেন, ‘যেহেতু এটি সরকারি জমি, সরকারি কাজ, আমাদের পিছপা হওয়ার সুযোগ ছিল না। সরকারি দখল নিয়ে ভূমিহীন মানুষদের ঘর দেয়া সেই কাজটি করে চলেছি।’

৬৪ পরিবারকে পুনর্বাসনের কাজ হাতে নিয়েছি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেদিন উদ্বোধন করবেন সেদিনই উপকারভোগীরা ঘর বুঝে পাবেন।’

কী পরিমাণ জমি উদ্ধার করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শিমুলিয়া ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ী আশ্রয়ণ প্রকল্পে এইখানে সিএস বা আরএস রেকর্ড অনুযায়ী ২ একর ২১ শতাংশ। সর্বশেষ রেকর্ড অনুযায়ী ১ একর ২০ শতাংশ জমি দখলমুক্ত করতে পেরেছি।

‘পুরোজমি ভরাট করে নির্মাণকাজ করছি। একটি পুকুর খননের কাজ চলছে। আরও দখলকৃত জমি উদ্ধার করে আশ্র‍য়ণ প্রকল্পের মানুষদের উৎপাদনমুখী কাজে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

উদ্ধার করা সরকারি জমিতে ঘর পেল ৬৪ পরিবার। ছবি: নিউজবাংলা

আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য সাভার উপজেলার চারটি জায়গায় থেকে সরকারি খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘জাতীয় স্মৃতিসৌধের পাশে এক একর জমি উদ্ধার করেছি। আশুলিয়াতে ইফাদ মাল্টি প্রোডাক্টসের ফ্যাক্টরির পাশ থেকে ২ একর জমি উদ্ধার করেছি। বিরুলিয়া ইউনিয়নের গোলাপ গ্রামে ২ দশমিক ৫ একর জমি উদ্ধার করেছি।’

শুধুমাত্র আশ্রয়ণের জন্য ৮ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দুই শোর বেশি পরিবারকে পুনর্বাসিত করতে যাচ্ছি।’

ইদ্রিস নামের এক ব্যবসায়ী সরকারি এই খাস জমি দখল করেছিলেন জানিয়ে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম আজহারুল ইসলাম সুরুজ বলেন, ‘ইদ্রিস আলী কি সব কাগজপত্র করে বিক্রি করেছেন। তারপর দখল করে নিয়েছে মোসাদ্দেক আলী ফালুর সাংহাই সিরামিক।’

উদ্ধার করা জমিতে স্তুপের মতো মাটি ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ড্রেজার দিয়ে ভেকু দিয়ে কেটে সমান করে ৬৪ ঘর বসবাসের মতো পরিবেশ করে দিয়েছি৷’

এ বিভাগের আরো খবর