গাজীপুরের শিক্ষানবিশ আইনজীবী ফিরোজ্জামান ওরফে সোহেলকে হত্যার দায়ে দুজনের ফাঁসি বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। তিথী ও সজল নামে এ দুই আসামি সহোদর। তাদের মা আমেনা বেগম ও ভাই বাপ্পীর ফাঁসির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। খালাস পেয়েছেন তাদের ভাগ্নে বাদল।
বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ রায় দেয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পী। আসামিপক্ষে ছিলেন মুনসুরুল হক চৌধুরী ও এস এম শাহজাহান।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হত্যা মামলাটিতে মোট পাঁচজন আসামি। আসামি আমেনা বেগম ও তার তিন ছেলে তিথী, সজল ও বাপ্পীর পাশাপাশি হত্যা মামলাটির অন্যতম আসামি তার বোনের ছেলে আশরাফুল ওরফে বাদল। হাইকোর্ট তিথী ও সজলের ফাঁসির রায় বহাল রেখেছে। খালাস পেয়েছেন বাদল।
‘আমেনা এবং তার আরেক ছেলে বাপ্পীর সাজা পরিবর্তন হয়েছে। তাদের যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়েছে। নারী বিবেচনায় আমেনা এবং বয়স কম বিচেনায় বাপ্পীর সাজা কমানো হয়। এই দুই আসামি আপিল করেননি, তারা পলাতক।’
মামলা থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৯ মার্চ শিক্ষানবিশ আইনজীবী সোহেলকে বিবাদের জেরে গাজীপুরের দক্ষিণ ছায়াবিথী এলাকায় কুপিয়ে জখম করা হয়। পরদিন হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ হত্যার ঘটনায় সোহেলের বাবা মো. সোহরাব উদ্দিন ভাণ্ডারী বাদী হয়ে আটজনের নামে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। এরপর দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০১৬ সালের ২৩ জুন বিচারিক আদালত পাঁচ আসামিকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেয়।
এরপর ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের করা আপিলের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বুধবার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে। এতে ফাঁসির পাঁচ আসামির মধ্যে একজন খালাস পান। আর দুজন আসামির সাজা কমেছে। বহাল আছে দুই ভাইয়ের ফাঁসির রায়।