বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডিএসসিসির অভিযান: ৮ দশক পর মাইশা খালের জমি উদ্ধার

  •    
  • ৩০ মার্চ, ২০২২ ২১:২৪

ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘মাইশা খাল এলাকায় ১৩টি তিনতলা ও ২০টি একতলা ভবন উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। দুদিনের অভিযানে ১০টি স্থায়ী-অস্থায়ী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারও অভিযান চলবে।’

অবৈধ দখলদারত্বের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার দ্বিতীয় দিনের এই অভিযানে দীর্ঘ আট দশক পর দখলমুক্ত হয়েছে মাইশা খালের জমি। উচ্ছেদ করা হয়েছে অবৈধভাবে গড়ে তোলা রাজনৈতিক দলের কার্যালয়।

করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সামাদ সিকদারের নেতৃত্বে অভিযানে সূত্রাপুরে মাইশা খালের জমি উদ্ধার করা হয়। আর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিফা খানের নেতৃত্বে বক্স কালভার্ট রোডের উভয় পাশে প্রতিষ্ঠিত/নির্মিত স্থায়ী-অস্থায়ী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

দিনব্যাপী অভিযানে সূত্রাপুরে মাইশা খালের জমি দখল করে নির্মাণ করা ১০টি অবৈধ স্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। দীর্ঘ আট দশক ধরে এই জায়গা দখল করে রাখা হয়েছিল।

এদিকে ফকিরাপুলের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি রাজনৈতিক দলের আধা পাকা অবৈধ কার্যালয়সহ ছয়টি স্থায়ী অবৈধ স্থাপনা এবং ১২-১৩টি অস্থায়ী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে কমলাপুর থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত বক্স কালভার্ট রোডের উভয় পাশের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

বক্স কালভার্ট রোডে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে পরিচালিত অভিযান প্রসঙ্গে দক্ষিণ সিটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিফা খান বলেন, ‘বক্স কালভার্ট রোডের উভয় পাশে বেশ কিছু স্থায়ী-অস্থায়ী অবৈধ স্থাপনা ছিল। আজকের অভিযানে সেসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।’

মাইশা খালের জমি উদ্ধারে অভিযান প্রসঙ্গে করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘সূত্রাপুরের যে জায়গায় দুদিন ধরে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে তা মাইশা খাল নামে অধিক পরিচিত। এটি করপোরেশনের আওতাধীন শহর মৌজা ২০৪ ও ২১০ সিএস দাগের জমি, যা জনসাধারণের ব্যবহার্য পানি নিষ্কাশনের ড্রেন হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নামে রেকর্ডভুক্ত। সেই জায়গা প্রায় আট দশক ধরে বেদখলে ছিল। অভিযানের মাধ্যমে এই সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে।

‘১৩টি তিনতলা ভবন এবং ২০টি একতলা সেমিপাকা বিল্ডিং উচ্ছেদ করে সিটি করপোরেশনের জমি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বিগত দুদিনের অভিযানে ১০টি স্থায়ী-অস্থায়ী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। আগামীকালও (বৃহস্পতিবার) সেখানে অভিযান চলবে।’

অভিযানকালে করপোরেশনের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো. শহিদ উল্লাহ মিনু, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, অঞ্চল-৫-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার উপস্থিত থেকে সার্বিক কার্যক্রম তদারক করেন।

এ বিভাগের আরো খবর