বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৭ বছর পর নওগাঁয় আ.লীগের সম্মেলন

  •    
  • ৩০ মার্চ, ২০২২ ২১:১১

দলের কয়েকজন নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হয়েছিল। ওই সম্মেলনে আব্দুল মালেককে সভাপতি ও সাধন চন্দ্র মজুমদারকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর প্রায় দুই বছর পর ২০১৬ সালে ৭১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।

সাত বছর পর নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। সম্মেলন ঘিরে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।

দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত জানানোর পাশাপাশি সম্মেলনের সফলতা কামনা করে বানানো হয়েছে অনেক তোরণ। শহরের সর্বত্র শোভা পাচ্ছে ব্যানার-ফেস্টুন।

শহরের নওজোয়ান মাঠে সকাল ১০টায় সম্মেলন শুরু হবে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমস্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানাসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা থাকবেন। সম্মেলনের সভাপতিত্ব করবেন সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক এবং সঞ্চালনা করবেন সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

বুধবার জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শহরের প্রতিটি প্রবেশপথ থেকে শুরু করে সম্মেলনস্থল পর্যন্ত পোস্টার-ব্যানারে ঠাসা সড়কগুলো। পুরো শহর এখন রঙিন বিলবোর্ডে ঢাকা। অন্যদিকে শহরের বিভিন্ন সড়কে তৈরি করা হয়েছে বড় বড় তোরণ। সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণচঞ্চল্য ফিরে এসেছে।

নতুন কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ কে পাচ্ছেন, তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যেও আলোচনা চলছে।

দলের কয়েকজন নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হয়েছিল। ওই সম্মেলনে আব্দুল মালেককে সভাপতি ও সাধন চন্দ্র মজুমদারকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর প্রায় দুই বছর পর ২০১৬ সালে ৭১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।

সম্মেলন ঘিরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদসহ অন্তত নয়জনের নাম আলোচনায় রয়েছে। সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন দলের বর্তমান সভাপতি ও সাবেক এমপি আব্দুল মালেক, সাধরণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। আরও আলোচনায় রয়েছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নওগাঁ-২ (পত্মীতলা ও ধামইরহাট) আসনের এমপি শহিদুজ্জামান সরকার এবং সহসভাপতি নির্মল কৃষ্ণ সাহা, কোষাধ্যক্ষ এম এ খালেক।

অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে বেশি আলোচনায় আছেন দলের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল, ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও নওগাঁ-৫ (সদর) আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল আহমেদ বাদল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক শফিকুর রহমান মামুন, নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর ও বদলগাছী) আসনের এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদারসহ বেশ কয়েকজন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল জানান, ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছেন তিনি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দলের হয়ে কাজ করবেন। আওয়ামী লীগে সব সময় তৃণমূল থেকে উঠে আসা নেতাদের গুরুত্ব বেশি রয়েছে। সে মূল্যায়নে তিনি এবার সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হতে চান।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘এই সম্মেলন ঘিরে পুরো জেলার মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ বইছে। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলনে যে কমিটি হবে সেখানে, দক্ষ, মেধাবী ও পরিশ্রমী নেতাকর্মীদের নেয়া হবে। মাদকাসক্ত ও হাইব্রিড নেতাদের কমিটিতে জায়গা হবে না।

‘আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এই সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিশ্বাস আছে দলের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করে নতুন, পুরোনোদের নিয়ে একটি শক্তিশালী কমিটি দেবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।’

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক জানান, প্রায় ৩০ বছর ধরে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সর্বশেষ সম্মেলনে দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক জীবনে দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। এবারও পাবেন বলে আশা করছেন।

এ বিভাগের আরো খবর