পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল হাউজিং ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড আগের বছরের তুলনায় কম আয় করলেও লভ্যাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য শেয়ার প্রতি ১৬ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতি শেয়ারের বিপরীতে পাবেন এক টাকা ৬০ পয়সা। আগের বছর বিনিয়োগকারীদেরকে ১৫ শতাংশ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি এক টাকা ৫০ পয়সা করে লভ্যাংশ দেয়া হয়।
লভ্যাংশ কম এলেও আগের বছর ন্যাশনাল হাউজিংয়ের আয় ছিল কম। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করে ২ টাকা ৭৫ পয়সা। এক বছর পর আয় কমে হয়েছে ২ টাকা ২২ পয়সা।
বুধবার কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ন্যাশনাল হাউজিং গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শেষ প্রান্তিকে ভালো করতে পারেনি। এই সময়ে তাদের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১১ পয়সা। এর আগের তিন প্রান্তিকে আয় ছিল ২ টাকা ১১ পয়সা।
আয় কমলেও সম্পদমূল্যে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ডিসেম্বর শেষে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ন্যাশনাল হাউজিংয়ের সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৬৫ পয়সা যা এক বছর আগে ছিল ১৭ টাকা ৯১ পয়সা।
আগের বছরের তুলনায় আর্থিক স্বাস্থ্য ভালো না হলেও এই কোম্পানিটির শেয়ার দর গত এক বছরে বিরাট লাফ দিয়েছিল। এই সময়ে কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দর ছিল ২৮ টাকা। এক পর্যায়ে তা ৯৪ টাকা ২০ পয়সায় উঠে যায়।
গত সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে শেয়ারদর একশ টাকা ছুঁইছুঁই অবস্থানে উঠে যাওয়ার পর থেকেই আবার শুরু হয় দরপতন। সর্বোচ্চ অবস্থানের চেয়ে শেয়ারদর এখন অর্ধেকেরও কম। লভ্যাংশ ঘোষণার দিন শেয়ার দর ছিল ৪৪ টাকা।
যারা এই লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে আগামী ২০ এপ্রিল শেয়ার ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ, সেদিন হবে কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট। এই লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ২ জুন।