বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেনাপোল বন্দরে বোমা বিস্ফোরণ, জড়িতদের বিচার দাবি

  •    
  • ৩০ মার্চ, ২০২২ ১৯:৪৩

বেনাপোল বন্দর হ্যান্ডলিংক শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওহেদুজ্জামান বলেন, ‘একাধিক মামলার আসামি রাশেদ গং বেনাপোলকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। আমদানিকারকদের মধ্যে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ কর্মকাণ্ডে রাশেদ ও তার হুকুমদাতা আশরাফুলকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’

বেনাপোল বন্দরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন শ্রমিকরা।

বন্দরে বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করেন বন্দরের হ্যান্ডলিংক শ্রমিকরা।

সোমবার সকালে বেনাপোলের শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ের সামনে কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক পুলিশসহ কয়েকজন শ্রমিক আহত হন। এরপর বন্দরে এক দিন বন্ধ থাকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।

শ্রমিকদের অভিযোগ, বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটনের নির্দেশে পৌর কমিশনার ও হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদের নেতৃত্বে তাদের লোকজন বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হ্যান্ডলিংক শ্রমিকদের অফিস দখলের চেষ্টা করে।

সংবাদ সম্মেলনে বেনাপোল বন্দর হ্যান্ডলিংক শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওহেদুজ্জামান বলেন, ‘সোমবার সকালে শ্রমিকরা বন্দরে পণ্য লোডিং-আনলোডিংয়ে ব্যস্ত ছিল। তখন বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটনের নির্দেশে রাশেদের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক লোক সাধারণ শ্রমিকদের লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করে। রামদা দিয়ে কয়েকজন শ্রমিককে জখম করা হয়েছে। তারা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

‘আওয়ামী লীগ নেতা ও বেনাপোল পৌর মেয়র কীভাবে এ ধরনের কর্মকাণ্ড ও সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারেন তা আমার বোধগম্য নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘একাধিক মামলার আসামি রাশেদ গং বেনাপোলকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। আমদানিকারকদের মধ্যে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ কর্মকাণ্ডে রাশেদ ও তার হুকুমদাতা আশরাফুলকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’

শ্রমিকনেতা ওহেদুজ্জামানের এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বোমাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। রাশেদ আমার সৃষ্টি নয়, সে ওহেদুজ্জামানের সৃষ্টি। রাশেদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক পৌর কমিশনার হিসেবে। আড়াই বছর ধরে তার সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগও নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওহেদুজ্জামান পোর্টে ঢোকার পর ২৭৫ জন শ্রমিককে তাড়িয়ে দিয়েছে। তারাই সংঘবদ্ধ হয়ে বোমাবাজি করতে পারে।

‘আমি সন্ত্রাসী ঘরের সন্তান নই, আমি সন্ত্রাস পুষি না। যারা সন্ত্রাস পোষে তারাই বেনাপোলে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনার দিন ওহেদুজ্জামান শ্রমিকদের দিয়ে আমার মার্কেট ও একটি ব্যাংক বুথ ভাঙচুর করেছে।’ বলেন পৌর মেয়র।

বন্দরে বৈধ পণ্যের সঙ্গে অবৈধ পণ্যও আসে দাবি করে তিনি বলেন, ‘এর সঙ্গে শ্রমিক নামধারী কিছু লোক জড়িত রয়েছে। এদের কারণে আমদানিকারকরা সব সময় আতঙ্কে থাকেন। আমি আবারও বলছি, এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রাশেদের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।এদিকে ঘটনার পর সোমবার রাতে রাশেদের গাড়ি থেকে একটি পিস্তল, পাঁচটি গুলি ও বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। আটজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে অস্ত্র আইন, বিস্ফোরক আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে তিনটি মামলা হয়েছে। মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর