জাতীয় সরকার ইস্যুতে দলের অবস্থান পরিষ্কার করেছে বিএনপি। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের পর দলটি জাতীয় সরকার গঠন করতে চায়।
বুধবার দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা নির্বাচন চাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। সেই নির্বাচন করার পর আন্দোলনে থাকা দলগুলো নিয়েই আমরা জাতীয় সরকার গঠন করব। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এমন পরিকল্পনার কথা বলেছেন।’
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথ সভা শেষে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে তার অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই কেবল দেশের চলমান সমস্যার সমাধান হতে পারে। সে জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট করেই বলেছেন- আমরা একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। আর সেই নির্বাচনের পর আমরা সবাইকে নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে বিরাজমান সব সমস্যার সমাধান করতে চাই।’
সরকার বিরোধী দলগুলোর মধ্যে আ স ম আবদুর রবের জেএসডি ইতোমধ্যে একটি জাতীয় সরকারের প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে। দলটির দাবি, বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকার গঠন করে তাদের অধীনে আগামী নির্বাচন করতে হবে।
গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং ড. কামাল হোসেনের গণফোরামও মনে করে, বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণে জাতীয় সরকার গঠন জরুরি।
অন্যদিকে সরকার পতন আন্দোলনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির দাবি- জাতীয় সরকার নয়, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতায় হস্তান্তর করতে হবে। তারা জাতীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিরুদ্ধে। এই প্রশ্নে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যুক্ত দলগুলোর মতভিন্নতা রয়েছে।