কক্সবাজারের আশ্রয় শিবির থেকে ১৩ দফার দ্বিতীয় দিনে আরও ১ হাজার ৫৪৪ রোহিঙ্গা নাগরিক নোয়াখালীর ভাসানচরের পথে রওনা হয়েছেন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে ২০টি বাসে ১ হাজার ২২ জন ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হন। পরে বিকেলে ১৫টি বাসে আরও ৫২২ জন রোহিঙ্গা রওনা দেন। তাদের প্রথমে চট্টগ্রাম ও বৃহস্পতিবার সকালে সেখান থেকে ভাসানচরে নেয়া হবে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা নয়ন জানান, ১৩ দফার দ্বিতীয় দিনে ১ হাজার ৫৪৪ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম হয়ে তাদের ভাসানচরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। আরও কিছু রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাওয়ার জন্য রাজি হয়েছেন। তাদের পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে ১৩ দফার প্রথম দিনে ১ হাজার ৯৯৯ জন রোহিঙ্গা বুধবার ভাসানচরে পৌঁছেছেন, যারা মঙ্গলবার উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন।
২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে প্রথম রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে কার্যক্রম শুরু হয়।
এরপর দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে গত বছরের ৯ অক্টোবর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সহায়তা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হতে সমঝোতা চুক্তি সই করে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা- ইউএনএইচসিআর।
এর আগে দ্বাদশ দফা পর্যন্ত কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছিল ২৪ হাজার ৫৭৮ জন রোহিঙ্গাকে।
২০২০ সালে সরকার সিদ্ধান্ত নেয় কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে। সরকারের ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে কার্যক্রম চলছে।
ওই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাসস্থানসহ অবকাঠামোগত সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার নির্মাণ ও প্রস্তুতি শেষ করে সরকার।