প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়ন করা সম্ভব না হলে উন্নত ঢাকা গড়াও সম্ভব হবে না বলে মনে করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
কামরাঙ্গীরচরে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দক্ষিণ সিটির ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১১০ জন প্রান্তিক নারীর মধ্যে ব্যবসায়িক অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে বুধবার দুপুরে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তাপস বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমাদের উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছেন। তিনি আমাদের রূপকল্প-২০৪১-এর মাধ্যমে যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দিয়েছেন, সেই উন্নত বাংলাদেশের উন্নত রাজধানী হিসেবে ঢাকাকে গড়তে হলে বিশাল নারী সমাজ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নত, মানসম্পন্ন জীবন নিশ্চিত করতে হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন করা না গেলে উন্নত ঢাকা গড়া সম্ভব হবে না।’
প্রকল্পে নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীকে স্বাবলম্বী করার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে জানিয়ে দক্ষিণের মেয়র বলেন, ‘ঢাকা শহরে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ মানুষ বাস করে। এই বিরাট জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশই হলো নিম্ন ও নিম্ন-মাধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠী। তাদের মধ্যে নারীরা একটি বিরাট অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা শহরের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে এই প্রকল্প চালু করেছেন।
‘এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকার নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের নারীদের আমরা ক্ষমতায়ন করতে চাই। তাদের দারিদ্র্য বিমোচন করতে চাই। আমরা তাদেরকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও স্বাবলম্বী করতে চাই।’
৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১১০ জন নারীর মধ্যে ১১ লাখ টাকা ব্যবসায়িক অনুদান দেয়া হয়। ছবি: নিউজবাংলা
অনুষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারীর মধ্যে এই ব্যবসায়িক অনুদান দেয়া হবে বলে জানান মেয়র তাপস।
অনুষ্ঠানে ১০ হাজার টাকা করে ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১১০ জন নারীর মধ্যে মোট ১১ লাখ টাকা ব্যবসায়িক অনুদান দেয়া হয়।
এর আগে মেয়র সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দোলাইরপাড়ে ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য সম্ভাব্য অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ, অঞ্চল-১০ অস্থায়ী কার্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের স্টাফ কোয়ার্টারে খেলার মাঠ ও বহুতল ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।