সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের যাদুকাটা নদীর তীর দিনভর জমজমাট। সেখানে ২ বছর পর বারুণী স্নানে মেতেছেন কয়েক হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বী।
পাপ মোচন ও পুণ্য লাভের আশায় স্নান করতে উপজেলার লাউড়েরগড়ে যাদুকাটার তীরে বুধবার ভোর থেকে জড়ো হতে থাকেন পুণ্যার্থীরা।
প্রতি বছর চৈত্র মাসে মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশীতে (গৌর পূর্ণিমার পরের ত্রয়োদশী) এই হয় এই স্নান। পাশাপাশি বসে মেলাও। তবে করোনার কারণে গত দুই বছর এই উৎসব বন্ধ ছিল।
এতদিন পর স্নানে আসতে পেরে সন্তুষ্ট পুণ্যার্থীরা। তবে বেহাল সড়কের কারণে যাতায়াতে ভোগান্তির অভিযোগ তাদের।
ঢাকা থেকে আসা রণি তালুকদার বলেন, ‘এটি আমাদের ধর্মীয় ঐতিহ্য। এখানে মানুষজন আসে তাদের পাপ মোচনে এবং ঈশ্বরের আর্শীবাদ নিতে। ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি পরিবারের লোকজনকে এদিন আসলে যাদুকাটার তীরে শ্রী শ্রী অদ্বৈত মহাপ্রভুর আখড়ায় আসেন।’
হবিগঞ্জের রুপক দাস বলেন, ‘পণার্তীর্থ আমাদের প্রার্থনার একটি স্থান। এখানে বার বার আসতে হয় না। এটি নির্দিষ্ট একটি তারিখে এসে স্নান করতে হয়। ভগবানের আর্শীবাদ পাওয়া যায়। সকল হিন্দুধর্মীয় ব্যক্তিরা পণ করেন, এখানে আসবেন ও স্নান করবেন।’
হবিগঞ্জের আরেক পুণ্যার্থী রিপন দে বলেন, ‘আমরা এখানে প্রার্থনার জন্য আসি প্রতি বছরে একবার। ভোগান্তি ছিল, অনেক জায়গায় রাস্তায় গর্ত, আবার অনেক জায়গা ভাঙা। তাছাড়া তীর্থস্থান পর্যন্ত যানবাহনের লাইন থাকে যেটি পুণ্যার্থীদের চলাচলে অসুবিধা হয়।’
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুনা সিন্দু চৌধুরী বাবুল বলেন, ‘টানা ২ বছর উৎসবটি বন্ধ ছিল। এ বছর আমরা সবকিছু খুলে দেয়ায় স্বাস্থ্যবিধি কথা মাথায় রেখে পুণ্যার্থীদের স্নান করতে বলা হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর অনেক মানুষ হয়েছে, লাখের উপরে হবে।’