বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

একটি গোষ্ঠী দেশের বিরুদ্ধে কথা বলে পয়সা জোগাড় করে: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ৩০ মার্চ, ২০২২ ১৬:৪৯

সংসদে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রকৃতপক্ষে দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমন, নারী নির্যাতন বা হত্যাকাণ্ড তদন্তের মতো মানবিক কাজই করেছে র‌্যাব। মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়, মানবাধিকার সংরক্ষণে তারা কাজ করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে একটি গোষ্ঠী আছে যারা দেশের বিরুদ্ধে কথা বলে পয়সা জোগাড় করে। র‍্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার জন্য এই গোষ্ঠী দায়ী।

বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে সংসদ নেতা এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে কিছু লোক আছে যারা একটু বুদ্ধিজীবী, ইন্টেলেকচুয়াল। তারা নানা ধরনের সংগঠন করে। আর এই সংগঠনের মাধ্যমে তাদের পয়সা জোগাড় হয়। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারলেই তারা পয়সা জোগাতে পারে। আমাদের র‌্যাবের বিরুদ্ধে বদনাম এ দেশের মানুষই করেছে।’

র‌্যাবের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধজ্ঞা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘র‌্যাব সৃষ্টি হয়েছিল আমেরিকায় যখন ৯/১১ হলো তার পরে। তারা সন্ত্রাস দমনে বিভিন্ন দেশকে পরামর্শ দিয়েছিল, আর সেই পরামর্শে তখন বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন বিএনপি এই র‌্যাব সৃষ্টি করেছিল। অবশ্য র‌্যাব সৃষ্টি করে তারা এটিকে যথেচ্ছ ব্যবহার করেছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রকৃতপক্ষে দেশে জঙ্গিবাদ দমন, সন্ত্রাস দমন, নারী নির্যাতন বা হত্যাকাণ্ড তদন্তের মতো মানবিক কাজই করেছে র‌্যাব। মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়, মানবাধিকার সংরক্ষণে তারা কাজ করেছে।

‘আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে, বাংলাদেশে কোনো অস্বাভাবিক সরকার থাকলে অর্থাৎ অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী কেউ ক্ষমতায় থাকলে তারা খুব ভালো থাকে। কারণ তখন তাদের খুব গুরুত্ব থাকে। কিন্তু যখন একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলমান থাকে, তখন বোধহয় তারা ভালো থাকে না। তাই সব সময় তারা গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে লেগে থাকে। যত ভালো কাজই করুন তারা কোনো কিছু ভালো দেখতে জানে না।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘এরা সব সময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। নানা ধরনের চিঠি ইত্যাদির মাধ্যমে তারা র‌্যাব সম্পর্কেও অনেক অভিযোগ করেছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেসম্যান, সিনেটরদের কাছে বারবার তথ্য পাঠানো, চিঠি পাঠানোর মতো নানামুখী অপপ্রচার করেছে। আমাদের অ্যাম্বেসি সব সময় সক্রিয় ছিল। কিন্তু যখন এই ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করেছে, তখন অ্যাম্বেসির কাউকে ঢুকতে দেয়নি। এটা দু-তিন বছর আগের কথা। আমরা বারবার তাদের জানাচ্ছি এবং বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে র‌্যাবের কোনো সদস্য যখনই অন্যায় করেছে সঙ্গে সঙ্গে তাকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে।’

উদাহরণ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের একজন মন্ত্রী, তার মেয়ের জামাই আর্মি অফিসার ছিল। মন্ত্রীর জামাই হিসেবে কিন্তু আমরা তাকে ক্ষমা করিনি। তাকে ঠিকই বিচারের আওতায় আনা হয়েছে, শাস্তি দেয়া হয়েছে।

‘আওয়ামী লীগ সরকার কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না, সে যে-ই হোক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার কেউ অন্যায় করলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিই। ‌কাজেই এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কিছু থাকে না। র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সরকার কাজ করছে।’

এ বিভাগের আরো খবর