বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাপমুক্তির আশায় করতোয়ায় পুণ্যার্থীর ঢল

  •    
  • ৩০ মার্চ, ২০২২ ১৫:২৬

রমেশ চন্দ্র বলেন, ‘গত দুবছর করোনার কারণে আসতে পারিনি। এবার স্নান করে পাপমুক্ত হয়ে তবেই বাড়ি ফিরব।’

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বারুণী স্নান উৎসব শুরু হয়েছে।

বোয়ালমারী এলাকায় বুধবার ভোরে স্নান শুরু করেন পুণ্যার্থীরা।

করোনা মহামারির কারণে গেল দুই বছর এই উৎসব হয়নি। এ বছর উত্তরাঞ্চলের কয়েক লাখ সনাতন ধর্মাবলম্বী ও সাধু সন্ন্যাসী এই উৎসবে যোগ দিয়েছেন।কথিত আছে, বোয়ালমারী এলাকায় প্রবাহ সোজা উত্তরমুখী হওয়ায় এখানে স্নান করা পুণ্যের কাজ।

উজান থেকে এই স্থানে এসে করতোয়া নদীটি প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত উত্তরদিকে প্রবাহিত হয়েছে। চৈত্র মাসের কৃষ্ণ চতুর্দশী তিথিতে এখানে সাত দিন ধরে পুণ্যস্নান চলে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীরা স্নানমন্ত্র পাঠ করে হাতে বেলপাতা, ফুল, ধান, কাঁচা আম, ডাব, কলাসহ নানা নৈবেদ্য অর্পণের মাধ্যমে স্নান শেষ করেন। দেহ-মন থেকে পাপমোচনের আশায় অনেকে চুল বিসর্জন দেন, করেন পূজা-অর্চনা।

পুণ্যস্নান উপলক্ষে এখানে বসে মেলা। স্থানীয় মন্দির কমিটি এই মেলার আয়োজন করে।

এই উৎসবে যোগ দিতে ঢাকা থেকে সপরিবারে এসেছেন রমেশ চন্দ্র। তিনি বলেন, ‘গত দুবছর করোনার কারণে আসতে পারিনি। এবার স্নান করে পাপমুক্ত হয়ে তবেই বাড়ি ফিরব।’

বোদা উপজেলার বোয়ালমারী এলাকার মহন্ত রায় তার স্ত্রী সুমিত্রা বালাকে নিয়ে এসেছেন মন্দিরে। মন্ত্রপাঠ করে প্রয়াত বাবার জন্য আশীর্বাদ চেয়েছেন তিনি।

বোদা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সোলায়মান আলী নিউজবাংলাকে জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই উৎসব সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

মন্দির কমিটির সভাপতি পরেশ চন্দ্র জানান, দূরদূরান্ত থেকে আসা সাধু-সাধকদের জন্য থাকা ও প্রসাদের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কমিটির সফল ব্যবস্থাপনায় উৎসব জমে উঠেছে।

এ বিভাগের আরো খবর