মানবাধিকার ও শান্তি রক্ষার প্রশ্নে জাতিসংঘে হওয়া ভোটাভুটিতে ইউক্রেনের পক্ষে অবস্থান নেয় বাংলাদেশ।
বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানবাধিকার ও শান্তি রক্ষার প্রশ্নে জাতিসংঘে ইউক্রেনের পক্ষে আনীত দ্বিতীয় প্রস্তাবে ইতিবাচক ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘে যখন প্রথম প্রস্তাবটা এলো, তখন দেখলাম সেই প্রস্তাবে কোনো মানবাধিকারের কথা নেই, যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা নেই। সেখানে এ রকম কোনো বিষয়ই নেই। একটা দেশের বিরুদ্ধে ভোট, সেটা হলো রাশিয়া তখন আমি বললাম যে না এখানে তো আমি ভোট দেব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরপর দ্বিতীয় প্রস্তাব যখন এলো তখন দেখলাম ইউক্রেনে এই যুদ্ধের কারণে মানুষের কষ্ট হচ্ছে, ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে সবাই কষ্ট পাচ্ছে। সেখানে মানবাধিকারের বিষয়টা ছিল, তাই আমরা ভোট দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘে যখন প্রথম প্রস্তাবটা এলো, তখন দেখলাম সেই প্রস্তাবে মানবাধিকারের কথা নেই, যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা নেই। শুধু একটা দেশের বিরুদ্ধে ভোট। সেটা হলো রাশিয়া, তখন আমি বললাম যে এখানে তো আমি ভোট দেব না। কারণ যুদ্ধ তো একা একা বাধে না। উসকানি তো কেউ না কেউ দিচ্ছে। উসকানি দিয়েই তো বাধানো হলো যুদ্ধটা। তাহলে একটা দেশকে দায়ী করা হবে? সে জন্য আমরা ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিলাম। কারণ রাশিয়া আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমেরিকা যখন পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল রাশিয়া তখন আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। যারা আমাদের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছে আমরা নিশ্চয়ই তাদের পাশে থাকব। কিন্তু তারা যদি কোনো অন্যায় করে, সেটা আমরা মানব না। কারণ আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই। কিন্তু যুদ্ধটা বাধাল কারা? উসকানিটা কারা দিল? সেটাও খুঁজে দেখতে হবে। সে জন্য আমরা তখন সিদ্ধান্ত নিলাম যদি একটা দেশের বিরুদ্ধে তাই ভোট দেব না।
‘দ্বিতীয় প্রস্তাবটা যখন আসল তখন দেখলাম ইউক্রেনে এই যুদ্ধের কারণে সেখানে মানুষের কষ্ট হচ্ছে ছোট বাচ্চা থেকে সবাই কষ্ট পাচ্ছে। সেখানে মানবাধিকারের বিষয়টা ছিল। যেহেতু মানবাধিকারের বিষয় সেজন্য বাংলাদেশ ভোট দিয়েছে। এখানে একেবারে স্পষ্ট, এটা নিয়ে আর কারো কোনো প্রশ্ন থাকা উচিত না, দ্বিধা থাকা উচিত নয়।’