ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ গোবিন্দ চাকমা বলেন, পর্যায়ক্রমে ১৯৯৭ জন রোহিঙ্গাকে জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌবাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাদের গাড়িতে করে ৭১, ৭২, ৮৪ ও ৮৫ নম্বর ক্লাস্টারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছেছে আরও ১ হাজার ৯৯৭ জন রোহিঙ্গা।
বুধবার দুপুরে নৌবাহিনীর ৫ টি জাহাজে পর্যায়ক্রমে রোহিঙ্গারা ভাসানচর পৌঁছায়।
এ নিয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ হাজার ৫৮১ জন।
ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ গোবিন্দ চাকমা নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে ১৯৯৭ জন রোহিঙ্গাকে জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌবাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাদের গাড়িতে করে ৭১, ৭২, ৮৪ ও ৮৫ নম্বর ক্লাস্টারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৪ জন, ২০২১ সালের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় ৩ হাজার ২৪২ জন, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় ৩ হাজার ১৮ জন, পঞ্চম দফায় ৩ ও ৪ মার্চ ৪ হাজার ২১ জন, ষষ্ঠ দফায় ১ ও ২ এপ্রিল ৪ হাজার ৩৭২ জন, সপ্তম দফায় ২৫ নভেম্বর ৩৭৯ জন, অষ্টম দফায় ১৮ ডিসেম্বর ৫৫২ জন, নবম দফায় ৬ জানুয়ারি ৭০৫ জন, দশম দফায় ৩১ জানুয়ারি ১২৮৭ জন, একাদশ দফায় ১ হাজার ৬৫৫ জন ও দ্বাদশ দফায় ২৯৮২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তর করা হয়।
এ ছাড়া গত বছর মে মাসে সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়।