দেশের প্রতিটি স্তরে নানা রকম অনিয়ম হচ্ছে উল্লেখ করে দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান বলেছেন, এ কারণেই এত টাকা বরাদ্দের পরও সংকট থেকে যাচ্ছে।
মাদারীপুর শহরের শকুনী লেকপাড়ে অবস্থিত সমন্বিত সরকারি ভবনে দুর্নীতি দমন কমিশনের ‘সমন্বিত জেলা কার্যালয়’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি এ কথা বলেন।
দুদক কমিশনার বলেন, ‘জাপানে কোনো দুর্নীতি দমন কমিশন নেই। কারণ সেখানকার মানুষ জানে না দুর্নীতি বা ঘুষ কী। দেশের প্রতিটি স্তরে নানা রকম অনিয়ম হচ্ছে। এসব কারণেই এত টাকা বরাদ্দের পরেও দেশে নানা সংকট। সবাইকে সাবধান থাকতে হবে।’
ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, মাদারীপুরে এখন অনেক বড় বড় প্রকল্প হচ্ছে। পদ্মা সেতু হওয়ার পরে পুরো জেলার চিত্রই পাল্টে যাবে। সরকার কোটি কোটি টাকা এখানে বরাদ্দ দিচ্ছে। তাই এখানে একটি আঞ্চলিক কার্যালয় জরুরি হয়ে পড়েছিল। মাদারীপুরে দুদকের কার্যক্রম যেন দুর্নীতিবাজদের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে ওঠে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন, বিশেষ অতিথি ছিলেন দুদকের মহাপরিচালক (আইসিটি ও প্রশিক্ষণ) একেএম সোহেল, দুদকের ঢাকার মহাপরিচালক (তদন্ত-১) রেজানুর রহমান, দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক আক্তার হোসেন, শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান, মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল ও শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার এস. এম. আশরাফুজ্জামান।
শরীয়তপুর ও মাদারীপুর দুই জেলায় কার্যক্রম চলবে সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে। মাদারীপুর শহরের লেকেরপাড়ে অবস্থিত সমন্বিত সরকারি অফিস ভবনের দশ তলায় স্থাপন করা হয়েছে অফিসটি।