শেয়ারবাজারে তারল্য বাড়াতে সহযোগিতা করতে ৩০ নন-লাইফ বিমা কোম্পানির উদ্যোক্তাদের কমপক্ষে ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
মঙ্গলবার বিমা কোম্পানির নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি ওই বিমা কোম্পানিগুলোর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে একই সঙ্গে কমপক্ষে ৪০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগের দিন অতালিকাভুক্ত ২৬ বিমা কোম্পানিকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) জন্য ফাইল জমা ও ইক্যুইটির ২০ শতাংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আইডিআরএকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
এ ছাড়া গত ২৩ মার্চ শেয়ারবাজারের উন্নয়নে সহায়তার জন্য ৬১টি ব্যাংককে বিদ্যমান সক্ষমতার মধ্য থেকে বিনিয়োগ করার জন্য চিঠি দেয় বিএসইসি। যে ব্যাংকগুলোর ৪০-৫০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে; তাদের চিঠি দেয়া হয়।
ব্যাংকগুলোকে দেয়া বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, অনেক ব্যাংক বিনিয়োগ সীমা ও ২০০ কোটির বিশেষ তহবিলের থেকে অনেক কম বিনিয়োগ করেছে। এ ছাড়া অধিকাংশ ব্যাংক এখন পর্যন্ত ২০০ কোটির বিশেষ তহবিল গঠনই করেনি।
এই পরিস্থিতিতে ৩৩ ব্যাংককে বিনিয়োগ সীমা অনুযায়ী ও বিশেষ তহবিল থেকে বিনিয়োগের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিশেষ তহবিল গঠন না করা ২৮ ব্যাংককে তা গঠন করে বিনিয়োগের জন্য বলা হয়েছে।
আইডিআরএ থেকে চিঠি দেয়া ৩০ বিমা কোম্পানি হলো অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, জনতা ইন্স্যুরেন্স, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, নিটল ইন্স্যুরেন্স, নর্দার্ণ ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স ও ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স।
আইডিআরএর চিঠিতে বলা হয়েছে, বিমা আইন ২০১০-এর ২১ ধারা এবং তফসিল (১)(খ) অনুযায়ী বাংলাদেশে নিবন্ধিত নন-লাইফ বিমা কোম্পানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন হবে ৪০ কোটি টাকা। যার ৬০ শতাংশ হবে উদ্যোক্তাদের এবং বাকি ৪০ শতাংশ হবে জনসাধারণের।
এতে বলা হয়, এ হিসাবে ৪০ কোটির ৬০ শতাংশ বা ২৪ কোটি টাকার মালিকানা হবে উদ্যোক্তাদের। তবে কিছু কিছু নন-লাইফ বিমা কোম্পানির উদ্যোক্তারা এখনো পরিশোধিত মূলধনের ৬০ শতাংশে তাদের মালিকানা করতে পারেনি।
এ ছাড়া পুরোনো সব নন-লাইফ বিমা কোম্পানিকে বিমা আইন ২০১০-এর ধারা ২১ যথাযথভাবে মানার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চিঠিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।