ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের টাকার বিনিময়ে জামিন করিয়ে দেয়ার অভিযোগে জেলে ছিলেন সোহেল রানা। কারাগারেই পরিচয় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামি আব্বাস হোসেনের সঙ্গে।
জামিনে ছাড়া পেয়ে ২৮ মার্চ দুপুরে চুরি করা মোটরসাইকেলে আব্বাসের শ্বশুরবাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার ছত্রপাড়ায় যান সোহেল।
সেখানে নিজেকে পুলিশের উপপরিদর্শক সুমন পরিচয় দিয়ে আব্বাসকে বেকসুর খালাস করিয়ে দেয়ার আশ্বাসে তার শ্বশুর রিয়াজুল ইসলামের কাছে ১২ হাজার টাকা দাবি করেন। রিয়াজুল টাকা দিতে রাজিও হন।
সোহেলের নামে করা মামলার এজাহারে এমনই বলা হয়েছে।
এজাহারে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার বিকেলে টাকা নিতে চুয়াডাঙ্গার নিচের বাজারে আব্বাসের ভাই মুদি ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম মানিকের দোকানে যান সোহেল। সেখানে তিনি নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে বিয়ের জন্য মেয়ে দেখার কথা বলেন। জহুরুল তাকে বাড়ি নিয়ে যান নিজের মেয়ে দেখাতে।
জহুরুল বলেন, ‘সোহেলকে বাড়িতে মেয়ে দেখাতে নিয়ে গেলে তার কথাবার্তায় আমাদের সন্দেহ হয়। তিনি কোথায় কর্মরত জানতে চাইলে যশোরের মণিরামপুর থানার কথা বলেন।
‘পরিচয় নিশ্চিত হতে মণিরামপুর থানায় যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, সোহেল একজন প্রতারক। পুলিশকে খবর দিলে তারা তাকে গ্রেপ্তার করে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ নিউজবাংলাকে জানান, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার শেখপাড়া থেকে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার আমবাড়িয়া গ্রামে।
সোহেলের কাছ থেকে পুলিশের পোশাক ও পালসার মডেলের চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
আবু সাঈদ বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে জহুরুল পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে সোহেলের নামে মামলা করেন। পুলিশ তার নামে চুরির মামলা করেছে। কয়েক দিন আগে পুলিশের পোশাক পরে ঝিনাইদহ থেকে সোহেল একটি মোটরসাইকেল চুরি করেন। বুধবার তাকে আদালতে তোলা হবে।
‘সোহেলের নামে চুয়াডাঙ্গা সদর থানাসহ বিভিন্ন থানায় মামলা আছে। সর্বশেষ তাকে ২০২১ সালের ১৯ এপ্রিল ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের টাকার বিনিময়ে জামিন করিয়ে দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিনি নিজেকে এসআই পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছেন।’