নরসিংদীতে মাধবদী বাসস্ট্যান্ডের অদূরে ৬ একর ১৮ শতাংশ জমির ওপর গড়ে উঠেছে ‘সোনার বাংলা সমবায় কটন মিলস লিমিটেড’। এরই মধ্যে সারা দেশের সংশ্লিষ্ট ভোটার নিয়ে নির্বাচনের দিন তারিখ ঘোষণা করেছে সমবায় অধিদপ্তর।
পত্রিকায় প্রকাশ করা তফসিল অনুযায়ী, জাতীয় নিয়ম অনুসারে নির্বাচনের দিন ধার্য করা হলেও তথ্য দিতে রাজি নন নির্বাচন কমিটির সদস্যরা।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোনার বাংলা সমবায় সমিতি কটন মিলস লিমিটেডের নির্বাচনে আমেজ নেই। অফিস কক্ষের নোটিশ বোর্ডে দেখা যায়, নির্বাচনের তফসিল ও পুরনো নোটিশ ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেয়া কারো কোনো তথ্য নাই। এ ছাড়া নরসিংদী সদর উপজেলা কার্যালয় সমবায় অফিসে গিয়েও মেলেনি নির্বাচনের কোনো তথ্য।
উপজেলা সহকারী পরিদর্শক লেমন সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিভাগীয় চিঠির মাধ্যমে নির্বাচনের বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। আগামী ৩ এপ্রিল এ নির্বাচনে কে বা কারা অংশ নিয়েছে তা স্যারেরা জানেন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় সমিতির অধীনস্ত সোনার বাংলা সমবায় সমিতি কটন মিলস লিমিটেড নির্বাচনের কয়েকজন ভোটার জানান, পত্রিকার বিজ্ঞাপন সবার চোখে পড়ে না। নিয়ম অনুসারে তাদের কাছে কোনো চিঠি বা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অবগত করেনি সমবায় কর্মকর্তারা।
ব্যবসায়ীদের স্বার্থে একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবে বলে বিশ্বাস ছিল সমবায় অধিদপ্তরের কাছে। কিন্তু সোনার বাংলা সমবায় সমিতিতে অনিয়মই রয়ে গেল।
সোনার বাংলা সমবায় সমিতি কটন মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক আসলাম উদ্দিন বলেন, ‘২০২২ সালের নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ৬ মার্চ নির্বাচনের ২৩টি ফরম বিক্রি হয়েছে। আর মনোনয়ন জমার শেষ দিন ছিল গত ১০ মার্চ। এই সমিতির অধীনে সারা দেশে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৩৬০ জন ভোটার রয়েছেন। এবার হালনাগাদ হয়ে ৮৬৬ জন ভোটার সক্রিয়। এর বেশি জানি না। আর নির্বাচন সংশ্লিষ্ট নথিগুলো স্যারেরা নিয়ে গেছে।’
সোনার বাংলা সমবায় সমিতির বর্তমান সভাপতি ও নরসিংদী আঞ্চলিক সমবায় প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘তফসিল অনুযায়ী গত ২৭ মার্চ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীদের নাম, তালিকা নোটিশ বোর্ডে দেয়া হয়েছে। আগামী ৩ এপ্রিল সাধারণ সভা ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী নিয়ম মেনে সব তথ্য পত্রিকায় প্রকাশ ও রেজিস্ট্রি ডাকের মাধ্যমে সব সদস্যদের জানানো হয়েছে।’
এর আগে গত ১০ মার্চ সমিতির নির্বাচন কমিটির সদস্য জহিরুল হক বলেছিলেন, নির্বাচনে ২৩টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। জমার শেষ দিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত সভাপতি ও সহসভাপতিসহ আটটি পদে মনোনয়নপত্র জমা হয়েছে। এগুলো যাচাই-বাচাই করে প্রার্থীদের নামের তালিকা সমিতির নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করা হবে।
সময় অনুযায়ী নামগুলো নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ না করে কেন গোপন রাখা হয়েছে, উত্তরে জহিরুল হক কোনো তথ্য না দিয়ে পরে কথা বলবে বলে জানান।
এই নির্বাচন কমিটির সভাপতি বিভাগীয় সমবায় দপ্তর ঢাকার যুগ্ম-নিবন্ধক রিয়াজ্লু কবীর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত ৬ মার্চ তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন ফরম নিয়ে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বসে ছিলাম। ২৩টি মনোনয়ন বিক্রি হয়েছে। আর তফসিল মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন ছিল ১০ মার্চ। যাচাই-বাচাই শেষে প্রার্থীদের নাম প্রকাশ হবে।’