পাতা ঝরা শীত শেষে বসন্তকে স্বাগত জানিয়ে নতুন পল্লবে সেজেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। দিনভর কোকিলসহ নানা পাখির ডাকে মুখর থাকে ক্যাম্পাস। বসন্তের নানা রকম ফুল একে দিয়েছে অন্য রকম সজীবতা।
এ সজীবতা বহুগুণে বাড়িয়েছে জাপানি এক ফুল। এর নাম ক্যাসিয়া রেনিজেরা। সাধারণত মার্চ ও এপ্রিল মাসে ফোটে এই ফুল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে, পুরোনো কলাভবনের ভেতর এবং জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে দেখা মেলে ক্যাসিয়া রেনিজেরার।
চলতি পথের মানুষ থমকে দাঁড়াচ্ছে এর সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে। পাতাশূন্য গাছে শ্বেতশুভ্র ফুল সহজেই কেড়ে নেয় যে কারও মন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ আর খান ২০০২ সালে এ ফুলের বীজ সংগ্রহ করে চারা উৎপাদন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে রোপণ করেন।
এই ফুল অনেকটা শিম আকৃতির লম্বা বীজের মতো। এর বীজ গোলাকৃতির।
ক্যাসিয়া রেনিজেরাকে অনেকে বার্মিজ পিংক ক্যাসিয়া নামেও চেনেন। এটির উচ্চতা প্রায় ১০ মিটার হয়ে থাকে। ৫ বছরের মধ্যেই ফুল ধরা শুরু করে।
শুধু বর্ষাকালেই এদের পাতা জন্মে। তা ছাড়া সারা বছর পাতাশূন্য থাকে। ক্যাসিয়ার ৪০ প্রজাতির গুল্ম ও বৃক্ষজাত রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতে ১৫ প্রজাতি পাওয়া যায়।
জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্ট্যাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নাইমুল সিয়াম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ক্যাম্পাসের অন্যান্য ফুলের চেয়ে ব্যতিক্রম এটি। যখন ফুল ধরে, তখন সারা গাছে পাতা থাকে না।’
নগর উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিসা শারমিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ক্যাসিয়া রেনিজেরার ফুল অনেক ভূমিকা রাখছে। এটি দেখলেই এক অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহবুবুল কবির হিমেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অনেকে এটিকে চেরী ফুল হিসেবে ভুল ভাবতে পারে।’