বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রথম ‘দুর্যোগ সহনশীল মডেল ইউনিয়ন’ হচ্ছে কালারমারছড়া

  •    
  • ৩০ মার্চ, ২০২২ ০৮:১৭

সারা দেশে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে প্রথমবারের মতো পাইলট প্রকল্প নিয়েছে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। এ জন্য দুর্যোগ সহনশীল মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে সারা দেশের পাঁচটি ইউনিয়নকে মনোনীত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম অবস্থানে রয়েছে মহেশখালীর কালারমারছড়া।

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নকে ‘দুর্যোগ সহনশীল মডেল ইউনিয়ন’ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন শেষে ২ মার্চ প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। এরপর প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, তিন মাসের মধ্যে সব সরকারি দপ্তরের সমন্বয়ে ‘দুর্যোগ সহনশীল মডেল ইউনিয়ন’ তৈরির কাজ শুরু হবে। আগামী এক বছরের মধ্যে এর পূর্ণাঙ্গ রূপ দিয়ে জনগণকে উপহার দিতে চায় সরকার।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, সারা দেশে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে প্রথমবারের মতো পাইলট প্রকল্প নিয়েছে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। এ জন্য ‘দুর্যোগ সহনশীল মডেল ইউনিয়ন’ হিসেবে গড়ে তুলতে সারা দেশের পাঁচটি ইউনিয়নকে মনোনীত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম অবস্থানে রয়েছে মহেশখালীর কালারমারছড়া।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রথমবারের মতো এটি পাইলট প্রকল্প। এ জন্য কালারমারছড়াসহ পাঁচটি ইউনিয়নকে মনোনীত করা হয়েছে। সরকারি সব দপ্তরের চাহিদার ভিত্তিতে সমন্বিতভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের পুরো অর্থের জোগান দেয়া হবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে।’

কালামারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনামতে, গত ২১ মার্চ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সামগ্রিক বিষয়ে মতামত নিয়ে দ্রুত কাজ শুরু করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ জন্য একটি সভা আয়োজনের নির্দেশনা পেয়েছি। ওই সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিপ্তরের মহাপরিচালক উপস্থিত থাকার সম্মতি জানিয়েছেন। আশা করছি, দ্রুতই এটি বাস্তবায়ন হবে।’

মহেশখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম এ ব্যাপারে জানান, ‘শিগগির আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে মন্ত্রণালয়। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যেই সুসংবাদ পাবে মহেশখালীর মানুষ।’

কক্সবাজার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ইতোমধ্যে প্রাথমিক ধাপের কাজ শুরু করেছি। দ্রুতই ইউনিয়নের সব স্তরের মানুষের অংশগ্রহণে একটা সভা করব। সভায় স্থানীয় জনগণই তাদের ঝুঁকিগুলো সম্পর্কে বলবে। সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।

‘প্রথমে ওয়ার্ডভিত্তিক ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করা হবে। তিন মাসের মধ্যে ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা হবে। পাশাপাশি সরকারি দপ্তর খানা জরিপ করবে। স্থানীয় জনগণ তাদের চাহিদার কথা জানাতে পারবে। সেসবের সমাধান করবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। তবে এ ক্ষেত্রে তথ্য নির্ভুল হতে হবে। সম্মিলিতভাবে এটি বাস্তবায়ন করবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।’

এ বিভাগের আরো খবর