বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আয়োজিত কনসার্ট বৃষ্টিবাধা ও বেশ কিছু অব্যবস্থাপনার দৃষ্টান্ত স্থাপনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ১২টায় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানার কথা থাকলেও সেটি শেষ হতে হতে প্রায় পৌনে একটা বেজে যায়।
অনুষ্ঠানের শুরুটা হয় বিকেল সাড়ে চারটায় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে। এরপর স্টেজে আসেন জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলস। প্রায় এক ঘণ্টা পারফর্ম করেন তারা।
এরপর সন্ধ্যা নামার মুখে স্টেজে ওঠেন ফোকসম্রাজ্ঞি খ্যাত মমতাজ।
মাগরিবের বিরতির আগ থেকে এশার নামাজের বিরতির পর পর্যন্ত দীর্ঘ সময় স্টেজ মাতান তিনি। যদিও মাঝে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৃষ্টির কারণে বন্ধ ছিল কনসার্ট।
অব্যবস্থাপনার চরম নিদর্শন স্থাপন করে আরও একবার আয়োজকদের চোখ এড়িয়ে যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে দেয়া বৃষ্টির আশঙ্কার খবর। যার কারণে কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা না রেখেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তারা।
বৃষ্টি শুরু হলে মাঠে থাকা দর্শকরা ছোটাছুটি শুরু করেন। ছবি: নিউজবাংলা
বৃষ্টি শুরু হলে গা বাঁচাতে খোলা মাঠে থাকা দর্শকরা ছোটাছুটি শুরু করেন। বৃষ্টি থামার পর সবকিছু ঠিকঠাক করে ফের মমতাজ আসেন স্টেজে।
রাত সাড়ে আটটায় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় আরও একবার জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয় এবং দর্শকরাও আসন ছেড়ে ওঠে দাড়িয়ে তাতে সুর মেলান।
কনসার্টের মূল আকর্ষণ ছিলেন অস্কারজয়ী ভারতীয় সংগীতজ্ঞ এ আর রহমান। তিনি মঞ্চে ওঠেন রাত সাড়ে ৯টার পর।
যে গানের সুর ও সঙ্গীত তৈরি করে অস্কার জিতেছেন, সেই ‘জয় হো’ গান দিয়ে শুরু করেন তিনি। নিয়মিত বিরতিতে তিনি ও তার সহযোগী শিল্পীরা মাতিয়ে তোলেন শেরেবাংলা।
জয় বাংলা, জয় বাংলাদেশ গানটি গাওয়ার পর ‘এক দোস্ত মুজিব হ্যায় দিলমে’ যখন তিনি গাওয়া শুরু করেন, ঘড়ির কাটায় তখন রাত প্রায় সাড়ে ১২টা। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তখনও উপস্থিত ছিলেন স্টেডিয়ামে।
এরপর ঘড়ির কাটা যখন পৌনে ১২টা ছুঁইছুঁই সে সময় লতা মঙ্গেশকারের স্মরণে ‘লুকাছুপি বাহাত হুই’ গান দিয়ে স্টেজ মাতান রহমান। ১২টা থেকে ১২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত যন্ত্রসংগীতের সুরে বুদ করে রাখেন দর্শকদের।
তারপর একের পর এক সঙ্গী শিল্পীরা পারফরম্যান্স দিয়ে মাতাতে থাকেন মঞ্চ। শেষ পর্যন্ত পৌনে একটায় ইতি টানেন তিনি অনুষ্ঠানের।