বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেট্রোরেলে আরও ১ হাজার ৩৫০ কোটি দিচ্ছে জাপান

  •    
  • ৩০ মার্চ, ২০২২ ০০:২১

যানজট থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটারের মেট্রোরেল নির্মাণ কাজ চলছে। এরমধ্যে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার অংশের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে এই অংশ উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

দেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্পে (এমআরটি-৬) আরও ১ হাজার ৮২৮ কোটি জাপানি ইয়েন ঋণ দিচ্ছে জাপান। দেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা।

শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সরকার ও জাপানের মধ্যে এ ঋণচুক্তি সই হয়েছে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির মধ্যে এই বিষয়ে বিনিময় নোট চুক্তিসই হয়েছে।

জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউহো হায়াকাওয়ার সঙ্গে ঋণচুক্তি সই হয়।

যানজট থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটারের মেট্রোরেল নির্মাণ কাজ চলছে। এরমধ্যে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার অংশের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে এই অংশ উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতিতে নেয়া গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা দেয়ার কথা ছিল জাইকার। বাড়তি ঋণ যুক্ত হওয়ায় জাইকার মোট ঋণ দাঁড়াচ্ছে ১৭ হাজার ৯৪৪ কোটি টাকা। মোহিত মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের এই ঋণের টাকা খরচ করা হবে।

জাইকার মাধ্যমে দেয়া জাপান সরকারের এই ঋণে সুদহার ০ দশমিক ৭০ শতাংশ, ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ (এই সময়ে ঋণের কোনো কিস্তি দিতে হবে না) ৩০ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

প্রথম মেট্রোরেল বা এমআরটি-৬ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত, অনুমোদিত ব্যয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা, যা মতিঝিল পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল। মেট্রোরেলের রুট কমলাপুর পর্যন্ত নেয়ায় প্রকল্পের কাজ বেড়ে গেছে। ব্যয়ও বাড়বে।

এজন্য প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধন প্রস্তাবে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯২ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাইকার ঋণ থেকে ১৯ হাজার ৬৭৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। সরকারি তহবিল থেকে ১৩ হাজার ৭৯৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। এতে জাইকার ঋণ থেকে বাড়তি তিন হাজার ৮১ কোটি ১১ লাখ টাকা ঋণ আশা করছে সরকার যার মধ্যে এক হাজার ৩৫০ কোটি টাকা হয়েছে। প্রকল্পের বাড়তি কাজের জন্য মেয়াদ ১ বছর ৬ মাস বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর