ফেনীর দাগনভূঞায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুইজনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একজন কর্মকর্তা দিনভর তাদের সহযোগী সেজে কাজ করেছেন।
উপজেলা সিন্দুরপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রাম থেকে গত রাতে তাদেরকে আটক করা হয়। এরা হচ্ছেন দাগনভূঞার রঘুনাথপুর গ্রামের এহসানুল হক রবিন ও একই ইউনিয়নের জগৎপুর গ্রামের নুর ইসলাম।
তাদের দেয়া তথ্য মতে মঙ্গলবার বিকেলে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, রঘুনাথপুর গ্রামে ডাকাতির প্রস্তুতি চলছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচয় গোপন করে ডাকাত দলের সঙ্গে মিশে যান সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জামাল হোসেন।
দাগনভূঞা থানার ওসি হাসান ইমাম জানান, চারজনের একটি দল ফেনীর দাগনভূঞার তিনজনকে ডাকাতি করার জন্য প্রস্তাব দেয়। এদের একজন ছিলেন পুলিশের সোর্স। তিনি ঘটনাটি এএসআই জামালকে জানালে তিনি কৌশলে ডাকাত দলের সঙ্গে মিশে যান।
সেই কর্মকর্তা দিনভর সবকিছু পর্যবেক্ষণ করেন। পরে ডাকাত দলের সদস্যরা রঘুনাথপুর বাজারের পূর্ব পাশে জয়নাল মিয়ার বাগানে অবস্থান নেন। রাত ২টার দিকে তারা ডাকাতি করবে, এমন পরিকল্পনা করে।
ডাকাত দলের সদস্যদের কথোপকথন এবং তাদের পরিকল্পনা গোপনে ওসিকে জানান এএসআই জামাল। পরে ওসি থানার পুলিশ সদস্যদের নিয়ে রাত একটার দিকে রঘুনাথপুরের ওই বাগানের চারপাশ ঘিরে ফেলে।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশ কৌশলে তাদের অবস্থান নির্ণয় করে দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, দুটি কার্তুজ, ছুরি, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তার রবিন জানান, রঘুনাথপুর গ্রামের সাজু চেয়ারম্যান বাড়ির এনায়েতের নেতৃত্বে তারা এলাকায় ডাকাতি করেন।
ওসি হাসান ইমাম জানান, এই চক্রটি দীর্ঘদিন দরে ওই এলাকায় এবং পার্শ্ববর্তী সেনবাগ এবং নাঙ্গলকোর্ট এলাকায় ডাকাতি করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র মামলা করে বুধবার আদালতে পাঠানো হবে।