সাভার উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে ১৫ বছর আগে আশুলিয়া থানা গঠন হলেও আওয়ামী লীগের কোনো কমিটি গঠন হয়নি। বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের মাধ্যমেই চলেছে মূল দলের কার্যক্রম। এতদিন পর হলেও মূলদলের নবগঠিত থানা কমিটির দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা।জাঁকজমকপূর্ণ ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে অতিথি হয়ে এসে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ডজন খানেক নেতা।সোমবার রাতে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ আশুলিয়া থানা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন।
আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ফারুক হাসান তুহিনকে সভাপতি, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক ও শাহাদাত হোসেন খানকে ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দেয়া হয়। এ সময় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে তাদের ওপর দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি।
আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের প্রথম ত্রিবার্ষিক সম্মেলন ঘিরে বাইপাইল এলাকায় বিএনসিসির মাঠকে সাজানো হয় আকর্ষণীয় করে। ফেস্টুনে ছেয়ে যায় রাস্তাঘাট। বিকেল ৩টা থেকে সম্মেলন শুরু হলেও সকাল থেকে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা।আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পেয়ে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, ‘প্রশাসনিকভাবে আশুলিয়া থানা প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই উপজেলার মর্যাদায় আওয়ামী লীগের একটা সাংগঠনিক ইউনিট হতে পারত। ১৫ বছর পার হলেও সেই কাজটা আমরা করেছি।‘সাংগঠনিক ইউনিটের প্রথম আহ্বায়ক কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে ফারুক হাসান তুহিন ও যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। এই দুইজনের নেতৃত্বে আশুলিয়া থানার সব ইউনিয়নের ওয়ার্ডে তারা সম্মেলন করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমানকে অবগত রেখে এবং তার উপস্থিতিতে সুন্দরভাবে সম্মেলনগুলো করেছেন। আজ থানার সফল সম্মেলন হলো। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে এটাই প্রত্যাশা।’
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের প্রচার সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।