বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এস কে সুর, শাহ আলমকে দুদকের চার ঘণ্টা জেরা

  •    
  • ২৯ মার্চ, ২০২২ ২০:২৬

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বেলা সোয়া ২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এস কে সুর ও শাহ আলম গণমাধ্যমকর্মীদের এড়িয়ে যান। প্রশ্নের মুখে একসঙ্গেই তারা বলেন, ‘যা বলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বলেছি।’

আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে অর্থ লুটের ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী ও নির্বাহী পরিচালক শাহ আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

এই প্রতিষ্ঠানটিতে আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুই শীর্ষ কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতার তথ্য উঠে এসেছে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হকের জবানবন্দিতে। তিনি ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

এরপর এই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বেলা সোয়া ২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এস কে সুর ও শাহ আলম গণমাধ্যমকর্মীদের এড়িয়ে যান। প্রশ্নের মুখে একসঙ্গেই তারা বলেন, ‘যা বলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বলেছি।’

এরপরই দুদক সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তিনি জানান, পি কে হালদারের অর্থ আত্মসাৎসংক্রান্ত মামলায় রাশেদুল হককে গত বছর রিমান্ডে নেয় দুদক। রিমান্ড শেষে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দেন। সেখানে নিজের দোষ স্বীকার করে তিনি শাহ আলম ও ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীর নাম বলেন।

তিনি বলেন, ‘জবানবন্দিতে নাম আসায় দুদক ওই দুজনকে আজ তলব করে। তাদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের বক্তব্যের সঙ্গে তথ্য-উপাত্ত মিলিয়ে দেখে আইনগতভাবে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

দুদক সচিব জানান, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের অর্থ আত্মসাতে ২২টি ও এফএএস ফাইন্যান্সের অর্থ আত্মসাতে ১২টি মামলা হয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ের মোট ১২ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ১০ আসামি আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

এই ঘটনায় এক হাজার কোটি টাকা সমমূল্যের সম্পদ ফ্রিজ ও ক্রোক করা হয়েছে। ৬৪ ব্যক্তি যেন বিদেশ যেতে না পারেন ইমিগ্রেশনে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। ৩৩ জনের অবৈধ সম্পদের নোটিশ জারি করে যাচাই চলমান রয়েছে।

সচিব বলেন, ‘আর্থিক প্রতিষ্ঠান হোক বা যেকোনো প্রতিষ্ঠানই হোক, আইনবহির্ভূত কোনো কিছু করলে দুদক ব্যবস্থা নেবে।’

রাশেদুল হকের জবানবন্দিতে বলা হয়, পি কে হালদারের নির্দেশেই তিনি ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ে যোগ দিয়েছিলেন। অর্থ লোপাটের তথ্য ধামাচাপা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক এক ডেপুটি গভর্নরকে মাসিক দুই লাখ টাকা করে মাসোহারা দিতেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট টিমকে ম্যানেজ করতে লাখ লাখ টাকা ঢেলেছেন পি কে হালদার- এমনটাও দাবি করা হয়েছে জবানবন্দিতে।

এ বিভাগের আরো খবর