বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘উই আর দ্য ফাদার অফ ইউ’

  •    
  • ২৯ মার্চ, ২০২২ ১৯:৪৫

গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে পুলিশের এক আয়োজনে আইজিপি বলেন, ‘রাজনীতি করেন জনগণের জন্য। আবার জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। জনগণকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্যোগ নেন। আপনারা কারা? হু আর ইউ? কী চান আপনারা?’ তিন দিন পর এর জবাব দিলেন জে এসডি নেতা।

‘আপনারা কারা? হু আর ইউ? কী চান আপনারা?’- পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের এমন বক্তব্যের জবাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘উই আর দ্য ফাদার অফ ইউ।’

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘আকাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ: বাস্তবতা ও করণীয়’ বিষয়ে এক আলোচনায় এরশাদ শাসনামলে ১৯৮৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর বিরোধীদলীয় হওয়া নেতা এই কথা বলেন।

রব বলেন, ‘আজকে আমলারা বলেন, হু আর ইউ। আমি বলি উই আর দ্য ফাদার অফ ইউ। তোমার বাবা আমি, আমি তোমার অভিভাবক, আমি তোমার গার্ডিয়ান। তারা যেভাবে বলে, এটা স্পর্ধা...। এমন পৃথিবীর কোনো দেশে নাই।’

গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে পুলিশের এক আয়োজনে আইজিপি বলেন, ‘মেবারের রাজা রতন সিং বাবরকে ভারত আক্রমণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। আমরা দেখি এই ভূত এখনও যায়নি। আমাদের নেতারা চিঠি লেখে জিএসপি সুবিধা বন্ধ করার জন্য, লবিস্ট নিয়োগ করে দেশের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করার জন্য।

‘রাজনীতি করেন জনগণের জন্য। আবার জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। জনগণকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্যোগ নেন। আপনারা কারা? হু আর ইউ? কী চান আপনারা?’

আইজিপির এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রব বলেন, ‘সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সংস্থাকে সংবিধানবহির্ভূত কাজে সম্পৃক্ত করেছে। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ এবং ক্ষমতা বিভাজন বিনষ্ট করে ফেলেছে, প্রজাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ করে ফেলেছে।

‘সংবিধান এবং রাষ্ট্র এখন সরকারের ইচ্ছাধীন হয়ে পড়েছে। কথা বলার অধিকার, ফৌজদারি মামলায় সুবিচার পাওয়ার অধিকারসহ জন্মগত নাগরিক অধিকার সবকিছুই সরকারের করুণার ওপর নির্ভরশীল।’

সরকারের জবাবদিহির জন্য ন্যায়পাল নিয়োগের দাবিও জানান জেএসডি নেতা। তিনি বলেন, ‘ন্যায়পালের অংশটা ওনারা (সংবিধানপ্রণেতারা) সংবিধানে রেখেছিলেন। কিন্তু গত ৫০ বছরে ন্যায়পাল নিয়োগ হয় নাই। ন্যায়পাল নিয়োগ হলে প্রধানমন্ত্রীকে, রাষ্ট্রপতিকে জবাবদিহি করতে হবে। ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত প্রত্যেককে জবাবদিহি করতে হবে।

‘এই জবাবদিহি ব্যবস্থা না থাকার কারণে সংসদীয় স্বৈরাচার কায়েম হয়েছে। এই স্বৈরাচারকে রুখতে হলে আবার হয়তো রক্ত দিতে হবে, জীবন দিতে হবে, আরেকটা লড়াইয়ে লড়তে হবে। আপসে ছাড়বে না।’

সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ মাঠে নেমে ‘যুদ্ধ’ করবে বলেও মনে করেন রব। বলেন, ‘জনগণের আরেকটা গণযুদ্ধ না করে এ স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটানো যাবে না, জনগণের অধিকার, ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। বাংলাদেশে কেউ আপসে যেতে চায় না।’

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জাতীয় সরকারের দাবিতে আগামী বৃহস্পতিবার বিক্ষোভেরও ডাক দেন রব। জানান, ঢাকায় মিরপুর-১ নম্বরে সনি সিনেমা হলের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হবে। তিনি নিজেই সেখানে থাকবেন।

আলোচনায় গণফোরাম নেতা আবু সাইয়িদ বলেন, ‘এখন সব ক্ষমতা গিয়ে এক ব্যক্তির কাছে কেন্দ্রীভূত হয়েছে, একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নিরপেক্ষ গণতন্ত্রের মাধ্যমে এই ক্ষমতা থেকে সরানোর সব জায়গা দলীয়করণ করা হয়েছে।

‘আমলা, কামলা সব জায়গা দলীয়করণ হয়েছে, এমনকি রাষ্ট্রপিতাকেও দলীয়করণ করা হয়েছে। অথচ তিনি তো সর্বজনীন।’

নাগরিক ঐক্যের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা একটা সমৃদ্ধ, সুখী জীবন চাই, যে জীবন আমাদের মুক্ত করবে, কথা বলতে দেবে। কিন্তু এমন একটা শাসন আমাদের ওপর চেপে বসে আছে যা প্রতি মুহূর্তে কর্তৃত্ব করছে। একটা সিন্দাবাদের দৈত্য ঘাড়ের ওপরে চেপে বসেছে, যাকে নামানো যাচ্ছে না। এর সঙ্গে আপস করলে চলবে না। গণতন্ত্রের জন্য, উন্নত জীবনের জন্য লড়াই করতে হবে।’

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের নেতা নঈম জাহাঙ্গীরও এ সময় বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর