করোনা মহামারিতে দেশের সরকারি হাসপাতালের অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন। তিনি এখন চিকিৎসক ও নার্সদের সেবার মান বাড়াতে চান।
মন্ত্রী জানান, গত দুই বছরে দেশের ১৩০টি হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন লাইন স্থাপন করা হয়েছে। ১০ হাজার চিকিৎসক এবং ১৫ নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
কেবল একটি ল্যাবে করোনা পরীক্ষা শুরু হলেও সেটি এখন বেড়ে হয়েছে ৮৬৭টি। করোনা রোগীর সেবায় ২০ হাজার শয্যা তৈরি করা হয়েছে। প্রায় ১ হাজার শয্যার অস্থায়ী হাসপাতাল করা হয়েছে, যেখানে ৪০০টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে।
মঙ্গলবার সোসাইটি অফ প্লাস্টিক সার্জনস অফ বাংলাদেশের ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন ‘প্লাস্টিকন ২০২২'-এ অংশ নিয়ে তিনি এমন তথ্য জানান।
এই সম্মেলনের মাধ্যমে চিকিৎসক ও নার্সের সেবার মান উন্নয়ন হবে বলেও আশা করেন মন্ত্রী। বলেন, এর মাধ্যমে নিজেদের (নার্স) জ্ঞান অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে, নতুন নতুন প্রযুক্তি বিষয়ে জানতে পারবে।
করোনা নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম স্থান অধিকার করেছে বলেও দাবি করেন মন্ত্রী। টিকা প্রয়োগে বিশ্বে দেশের অবস্থান এখন অষ্টম জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে এখন পর্যন্ত সাড়ে ২৯ কোটি টিকা এসেছে, যার মধ্যে প্রয়োগ হয়েছে ২৩ কোটির বেশি।’
উদ্বোধনের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে নিয়ে মুজিব কর্নার ঘুরে দেখেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। ছবি: নিউজবাংলা
মোট জনগোষ্ঠীর ৭৫ শতাংশের বেশি মানুষ এখন টিকার আওতায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ফ্রন্টলাইনার, অর্থাৎ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে ৯৭ থেকে ৯৮ শতাংশকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।’
করোনা নিয়ন্ত্রণে এলেও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ দেন মন্ত্রী। বলেন, ‘মাস্ক পরতে হবে, সবাই ভ্যাকসিন নিয়ে নেবেন, এ কথাটি আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে।’
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মুজিব কর্নার ও বঙ্গবন্ধু গ্যালারির উদ্বোধন করেন তিনি।
করোনা প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে এনে বিশ্ববাসীর কাছে আপনি প্রশংসিত হয়েছেন। করোনা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল তৈরি করেছে।’
উদ্বোধনের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে নিয়ে মুজিব কর্নার ঘুরে দেখেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। বার্ন ইউনিটের সমন্বয়কারী সামন্ত লাল সেনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।