পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির চেষ্টা হিসেবে এবার তালিকাভুক্ত নয়, এমন বিমা কোম্পানির দিকে দৃষ্টি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি।
এমন ২৬ বিমা কোম্পানিকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) জন্য ফাইল দাখিল ও তাদের ইক্যুইটির ২০ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে পদক্ষেপ নিতে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ-আইডিআরএ বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র রেজাউল করিমের সই করা চিঠি আইডিআরএ চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের শেয়ারবাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা নিয়ন্ত্রণ করে। যাদের এই বাজারে অংশগ্রহণ প্রায় ৮০ শতাংশ। কিন্তু শেয়ারবাজারের উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ভূমিকা বেশি হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে বিমা কোম্পানিগুলো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে পারে।’
বাংলাদেশে পুঁজিবাজারের কাঠামোগত দুর্বলতার একটি হিসেবে ধরা হয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের ঘাটতি। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বিএসইসি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগ বাড়াতে চিঠি দিয়েছে। সংস্থাটি মনে করে, ব্যাংকগুলোর আরও ৫০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সক্ষমতা আছে।
এর আগে ব্যাংক ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএসইসি। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই বৈঠক শেষে দুই পক্ষই বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। কিন্তু বাজারে লেনদেন বেড়েছে- এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
বিএসইসি জানিয়েছে, ২৬ বিমা কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনতে কমিশন বিভিন্ন ইস্যুতে ছাড় দিয়েছে। তবে সেসব কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আসার জন্য ইক্যুইটির ২০ শতাংশ বিনিয়োগ করতে হবে। এ নিয়ে ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি গেজেটও প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে আসতে ফাইল জমা এবং ইক্যুইটির ২০ শতাংশ বিনিয়োগের উদ্যোগ নেয়নি।