শিক্ষা ক্যাডারে সাড়ে ১২ হাজার পদ সৃষ্টির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী।
সোমবার দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ইরাব) সঙ্গে মতবিনিময়ে এ কথা জানান।
ইরাবের সভাপতি অভিজিৎ ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক আকতারুজ্জামান ও বিইআরএফের সাধারণ সম্পাদক এসএম আব্বাস নেতৃত্ব দেন। এ সময় দেশ রূপান্তরের প্রধান প্রতিবেদক উম্মুল ওয়ারা সুইটিও উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষা ক্যাডারে সাড়ে ১২ হাজার পদ সৃষ্টির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে।
‘আশা করি খুব শিগগিরই এ পদগুলো অনুমোদন দেয়া হবে। উচ্চশিক্ষার স্তরে মানসম্মত শিক্ষার বিস্তারে এই পদগুলো অনুমোদন দেয়া খুবই জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষাসচিবসহ শিক্ষা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে শিক্ষকদেরই রাখা উচিত। এটি না থাকায় শিক্ষকতার পাশাপাশি সমগ্র জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
শাহেদুল খবির বলেন, ‘শিক্ষকরা থাকবেন শিক্ষা প্রশাসনে। এটা না হলে শিক্ষকতা পেশা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ না পাওয়াতেও শিক্ষকতার উৎকর্ষসাধন সেভাবে হচ্ছে না। এর জন্যও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দায়ী।’
শিক্ষা ক্যাডারদের ব্যাচভিত্তিক প্রমোশন, প্রয়োজনীয় নতুন পদ সৃষ্টিসহ ক্যাডারদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে জানান তিনি।
শিক্ষা ক্যাডারের সব ব্যাচের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সারা দেশে প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষা ক্যাডার রয়েছেন। এসব ক্যাডারের প্রত্যক্ষ ভোটে সম্প্রতি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শাহেদুল খবির চৌধুরী। তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কলেজ ও প্রশাসনের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।