কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অপহরণের পর হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রায়ে দুইজনকে আমৃত্যু এবং তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আদালত শহিদুর রহমান ওরফে পিরু মিঠুনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। তিনি কুমারখালী উপজেলার দড়ি কোমর গ্রামের বাসিন্দা। আর আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন সদর উপজেলার হাউজিং এস্টেট এলাকার মেহেদী হাসান জজ ও কুমারখালী উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের মেহেদী হাসানকে। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আর কুমারখালীর সনদাহ গ্রামের নাহিদ হাসান, খোকসার চক হরিপুর গ্রামের মুন্সি অনিক হাসান ওরফে ইমরান ও ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার তুলশীতলা গ্রামের ওয়াদুদ ওরফে রাজুকে দিয়েছেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের মার্চে ইমরান শেখকে অপহরণের পর হত্যা করে একটি ক্ষেতে ফেলে রাখেন আসামিরা। এ ছাড়া তার বাইক চুরি করে নিয়ে যান তারা।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদশা শেখ কুমারখালী থানায় মামলা করেন।
এদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সাবেক সংসদ সদস্য আফাজ উদ্দিন আহমেদের বাড়িতে বোমা হামলা মামলায় দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।