বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাঁচ ধর্ষণ মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন

  •    
  • ২৯ মার্চ, ২০২২ ১৪:৪৪

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) নান্টু রায় বলেন, ‘মামলাগুলো দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। আজ বিচারক রায় দিয়েছেন। আমরা মনে করি, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।’

সুনামগঞ্জে অপহরণ ও ধর্ষণের ৫টি আলাদা মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু আদালতের বিচারক ও দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) নান্টু রায় নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন সদর উপজেলার রিপন মিয়া, ধর্মপাশা উপজেলার মো. জজ মিয়া, রুকন মিয়া, জগন্নাথপুর উপজেলার শাহিন মিয়া, সদর উপজেলার শৈলেন দাস এবং বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার আসাদ মিয়া।

পিপি জানান, ২০১১ সালে সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার তেরাপুর গ্রামে ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। সেই ঘটনায় মামলা হলে দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি ভুক্তভোগীর ফুফাতো ভাই রিপন মিয়াকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

এ ছাড়া ধর্মপাশা উপজেলায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে আসামি রুকন মিয়াকে যাবজ্জীবন এবং জজ মিয়াকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দুই মাসের জেল দিয়েছে আদালত।

অন্যদিকে জগন্নাথপুর উপজেলার হাড়গ্রাম এলাকায় ২০০৯ সালে ভাতিজিকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে চাচা শাহিন মিয়ার নামে মামলা হয়। এতে ধর্ষণের দায়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দুই মাসের জেল দেয়া হয়েছে তাকে।

অন্যদিকে ২০১৩ সালে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইছাগরি গ্রামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় আসামি শৈলেন দাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সবশেষে ২০১৫ সালে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার আমড়িয়া গ্রামে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ মামলায় আসাদ মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। একই সঙ্গে অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দুই মাসের জেল দেয়া হয়েছে।

রায়ের বিষয়ে পিপি নান্টু রায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মামলাগুলো দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। আজ বিচারক রায় দিয়েছেন। আমরা মনে করি, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর