অবশেষে শুরু হয়েছে সিলেট জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন। মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শুরু হয়।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা তাহসীনা রুশদীর লুনা। প্রধান অতিথি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জেলা বিএনপির আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদারের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে রয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. মো. এনামুল হক চৌধুরী, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ, সহ ক্ষিদ্র ও ঋণ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বগুড়া পৌরসভার মেয়র ও নির্বাহী সদস্য মো. রেজাউল করিম বাদশা, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, আবুল কাহের চৌধুরী শামিম, হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী।
সিলেট জেলা বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল হওয়ার কথা ছিল সোমবার। কিন্তু ঠিক এক দিন আগে হঠাৎ করেই সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্র থেকে রোববার দুপুরে মৌখিকভাবে সম্মেলন স্থগিতের কথা জানানো হয় বলে জানিয়েছিলেন জেলা বিএনপির নেতারা।
দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন বলা হলেও আদতে প্রায় সাড়ে ৬ বছর পর হচ্ছে এ সম্মেলন। সম্মেলনের পর কাউন্সিলে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচন হবে।
এই তিন পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯ জন প্রার্থী। মোট ১ হাজার ৮১৮ জন ভোটার নির্বাচিত করবেন জেলা বিএনপির শীর্ষ পদ।
কাউন্সিলে সভাপতি পদে আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, সাধারণ সম্পাদক পদে আ. ফ. ম কামাল, আলী আহমদ, অ্যাডভোকেট ইমরান আহমদ চৌধুরী ও মো. আব্দুল মান্নান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট এম মুজিবুর রহমান মুজিব, লোকমান আহমদ ও মো. শামিম আহমদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এবারের কাউন্সিলে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সভাপতি পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছিলেন। তবে কেন্দ্রের একরকম চাপে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।
এর আগে সবশেষ ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিলেট জেলা বিএনপির কাউন্সিল হয়। এতে আবুল কাহের চৌধুরী শামীম সভাপতি ও আলী আহমদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
২০১৯ সালের ২ অক্টোবর সিলেট জেলা বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে কেন্দ্র থেকে আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কামরুল হুদা জায়গীরদারকে আহবায়ক করে গঠিত কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছিল। তিন মাসের এই কমিটি প্রায় আড়াই বছর পার করে দিয়েছে।