বেনাপোল বন্দরে হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস দখলকে কেন্দ্র করে একদিন বন্ধ থাকার পর চালু হয়েছে পণ্য লোডিং-আনলোডিং।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস পেয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে হ্যান্ডলিংক শ্রমিকরা কাজে ফেরে।
হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াহিদুজ্জামান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে বেনাপোল পৌর কমিশনার ও হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদের নেতৃত্বে লাল পোশাক পরা ৪০ থেকে ৫০ জন বন্দরের সামনে এসে ইউনিয়ন অফিস দখলের চেষ্টা করে।
তারা ফাঁকা গুলি করে ও ৫০ থেকে ৬০টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে শ্রমিকরা পণ্য লোডিং-আনলোডিং কাজ বন্ধ করে দেয়। এরপর জড়িতদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনের আশ্বাস পেয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে লোডিং-আনলোডিং শুরু হয়েছে।
বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল ভূঁইয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সোমবার রাতে রাশেদের গাড়ি থেকে একটি পিস্তল, পাঁচটি গুলি ও বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ আটজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে অস্ত্র আইন, বিস্ফোরক আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে তিনটি মামলা হয়েছে। মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
‘রাশেদকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে তিনি পলাতক। বন্দর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য রাশেদকে ফোন দেয়া হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।