ফরিদপুরে এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে উপহারের প্যাকেটে বিষধর সাপ পাঠানোর ঘটনা ঘটেছে। প্যাকেট খুলে সাপটি দেখে অজ্ঞান হয়ে যান ওই প্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারী।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ফরিদপুর সদরের গজারিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
বাজারে গোয়ালন্দ-তাড়াইল সড়কের পূর্ব পাশেই নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাইমুদ্দিন আহমেদ মণ্ডলের ঢেউটিন বিক্রির প্রতিষ্ঠান। কাইমুদ্দিন নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্বেও আছেন।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপহারের প্যাকেটটি নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে আসেন এক ভ্যানচালক। তিনি প্যাকেটটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী শ্যামল কুমার বিশ্বাসের হাতে তুলে দেন।
শ্যামল কুমার প্যাকেটটি খুলে তার ভেতরে একটি দই এর হাঁড়ি এবং তার নিচে কুণ্ডলী পাঁকানো একটি সাপ দেখে ভয়ে অজ্ঞান হয়ে যান।
খবর পেয়ে তালমা এলাকায় একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে থাকা কাইমুদ্দিন মণ্ডল কিছুক্ষণের মধ্যে নিজ প্রতিষ্ঠানে এসে হাজির হন। সাপটি তখনও আংশিক তাজা ছিল। এর দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় সাড়ে আট ফুট।
ইউপি চেয়ারম্যান কাইমুদ্দিন মণ্ডল জানান, এ ঘটনায় বাজারের ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা ভ্যানের চালক আলমগীরকে আটক করে চাপ দিলে তিনি জানান, রামনগর ইউনিয়নের কালীখোলা গ্রামের বাসিন্দা কাঠ ব্যবসায়ী জহুরুদ্দী কারিকর তাকে ২০ টাকা ভাড়ার বিনিময়ে ওই বাক্সটি কাইমুদ্দিন মণ্ডলের দোকানে পৌঁছে দিতে বলেন। পরে ভ্যানচালকের সহায়তায় জহুরুদ্দী কারিকরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি এম এ জলিল জানান, গজারিয়া বাজার এলাকা থেকে পুলিশ জহুরুদ্দীকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না দেয়ায় তাকে চেয়ারম্যান কাইমুদ্দিন মণ্ডলের জিম্মায় দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নগরকান্দা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেতি প্রু বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে হবে। আমি কাইমুদ্দিন মণ্ডলকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। যে দুরভিসন্ধি এ ঘটনার পেছনে কাজ করেছে তা উদঘাটন করতে হবে।’