বাগেরহাটের মোংলায় প্রতিবেশীদের ভয়ে দুই মেয়ে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এক নারী। পূর্ব শত্রুতার জেরে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েও বাড়ি ফিরতে পারছেন না তারা।
মোংলা পৌরসভার মাদরাসা রোডের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী-কন্যারা এ অভিযোগ করেন।
সোমবার বিকেলে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ তুলে ধরেন রাজ্জাকের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে সুরাইয়া আক্তার।
তিনি বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যায় ৮ বছর বয়সী বোন অমি আক্তার তার গৃহশিক্ষককে ডাকতে বাইরে যায়। এসময় আমাদের প্রতিবেশী ইছাহাক গাছি ও তার ছেলে লাভলু গাছি অমিকে গালিগালাজ করেন। কারণ জানতে চাইলে তারা মা ও আমাকে গালিগালাজ করে মারতে আসেন।
‘রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে বাসার সামনে দাঁড়িয়ে মোবাইলে কথা বলার সময় ইছাহাক ও লাভলুসহ সাত-আটজন আমাকে মারধর করে তাদের বাসায় নিয়ে যান। তারা আমার গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেন। আমার চিৎকার শুনে স্থানীয় কয়েকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
‘এ ঘটনায় আমরা মোংলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লাভলুর সহযোগী জলিল শিকদার ওরফে টাইগার জলিল আমাদের পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রামছাড়া করার কথাও বলেন তারা। এই মুহূর্তে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
সুরাইয়ার মা নাজমা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী ঢাকায় চাকরি করেন। দুই মেয়ে নিয়ে আমি বাড়িতে থাকি। টাইগার জলিল ও লাভলু গাছির অত্যাচারে এখন বাড়িতে থাকতে পারছি না। তারা আমার মেয়েকে নানা সময় উত্যক্ত করেছে। মারধরও করেছে। আমি বাড়ি গেলেই তারা আমাকে মেরে ফেলবে। মেয়েদের নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ বিষয়ে জলিল শিকদার বলেন, ‘ইছাহাক গাছি ও লাভলু গাছিকে আমি ভালভাবে চিনিও না। আমাকে হেয় করার জন্য এই নারী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।’
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এই ঘটনায় দুই পক্ষের কাছ থেকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। পালিয়ে বেড়ানোর বিষয়ে তারা আমাকে অবহিত করেননি।’