বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মৌসুমি খাদ্যসংকটে ২৫ ভাগ ভূমিহীন

  •    
  • ২৮ মার্চ, ২০২২ ২২:০৪

যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক আহমেদ মুশফিক মোবারক গবেষণা প্রতিবেদনে বলেন, ‘দেশের একেক এলাকায় একেক সময় মৌসুমি দারিদ্র্য দেখা দেয়। উত্তরাঞ্চলে এর প্রবণতা বেশি, যা মঙ্গা নামে পরিচিত। বিশেষ করে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাট জেলায় সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ভূমিহীনদের ২৫ শতাংশ ঠিকমতো খাবার পান না।’

দেশের দরিদ্র ও ভূমিহীনদের ২৫ শতাংশের বড় সমস্যা ‘মৌসুমি দারিদ্র্য’। বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে তারা খাবার কষ্টে ভোগেন। উত্তরবঙ্গে এই দারিদ্র্য থাকে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত। এই সময়টাতে ভূমিহীনদের ২৫ শতাংশ নিয়মিত খেতে পান না। আবার ৫০ শতাংশ খাবারে পুষ্টি কমিয়ে দিতে বাধ্য হন। মৌসুমি ঋণ এই সংকট মোকাবিলায় একটি বড় উপায় হতে পারে।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (বিআইডিএস) সোমবার আয়োজিত পাবলিক লেকচারে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এতে ‘সিজনাল পোভার্টি, ক্রেডিট অ্যান্ড রেমিটেন্স’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক আহমেদ মুশফিক মোবারক। বিআইডিএস মহাপরিচালক (ডিজি) বিনায়ক সেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মুশফিক মোবারক বলেন, ‘দেশের একেক এলাকায় একেক সময় মৌসুমি দারিদ্র্য দেখা দেয়। উত্তরাঞ্চলে এর প্রবণতা বেশি, যা মঙ্গা নামে পরিচিত। মাত্রা যা-ই থাকুক, সেখানে এমন দারিদ্র্য সংকট নির্মম বাস্তবতা। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাট জেলায় সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই তিন মাস ভূমিহীনদের ২৫ শতাংশ ঠিকমতো খাবার পান না। ২০১৫ সালের আগস্ট থেকে ২০১৬ সালের জুলাই সময়কালে নেয়া এই চিত্র এখনও একই অবস্থায় রয়ে গেছে।’

‘২০২০ সালে করোনার মধ্যেও ডেটা কালেক্ট করে দেখেছি। ২০০৭ সালে যে সমস্যা দেখা গেছে তা ২০১৬ ও ২০২০ সালেও ছিল। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর- এই তিন মাস ভূমিহীনরা দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা থেকে ৫০ শতাংশ কমিয়ে ফেলতে বাধ্য হন।’

মোবারক বলেন, ‘আগস্ট মাসে উত্তরবঙ্গে ধান রোপণের কাজ থাকে। কিন্তু তারপর এলাকায় কোনো কাজ থাকে না। ধানের পরিচর্যায় কাজ কম। কিন্তু শ্রমিক বেশি থাকে। তাই শ্রম সস্তা হয়ে যায়। তখন চার ভাগের এক ভাগ ভূমিহীন নিয়মিত খেতে পান না। তিন মাস পর ধান কাটার মৌসুম শুরু হলে তাদের খাবারের সংকট কেটে যায়।

‘এ সংকট মোকাবিলায় দরিদ্র পরিবারগুলোকে মৌসুমি ঋণ দেয়া যেতে পারে। তবে ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে তা সম্ভব নয়। কারণ এতে প্রতি সপ্তাহে ঋণের কিস্তি দিতে হয়। তাদেরকে তিন মাস পর পরিশোধের শর্তযুক্ত ঋণ দিতে হবে। ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার ছোট অঙ্কের মৌসুমি ঋণ পেলে তারা পরিবারের খরচ মেটানোর পাশপাশি অন্য এলাকায় গিয়ে কাজ করে আয় করতে পারবে। আবার মৌসুম শেষে তা শোধ করে দেবে। পাইলট কর্মসূচিতে এ পদ্ধতি ৮০ শতাংশ সফল হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর