বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খাতুনগঞ্জে আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম

  •    
  • ২৮ মার্চ, ২০২২ ২১:০৩

খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিঞা মার্কেট কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম কম। মিয়ানমারের পেঁয়াজ গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা কমেছে। ভারতের নাসিক পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৭ টাকায়।

দেশে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি হয়ে থাকে প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমার থেকে। পাইকারিতে এ দুটি দেশ থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা কমেছে। তবে খুচরা বাজারে মসলাজাতীয় এই পণ্যের দাম আছে আগের মতোই।

খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের আড়তে সোমবার ঘুরে দেখা যায়, ভারতীয় পেঁয়াজ গত সপ্তাহের চেয়ে ২ টাকা কমে জাতভেদে ২৪ থেকে ২৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২ টাকায়। যেখানে গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৫ টাকা দরে। ভারতীয় নাসিক জাতের পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ২৭ টাকা দরেই বিক্রি হচ্ছে এ পেঁয়াজ।

বাজারে চাহিদার চেয়েও সরবরাহ বেশি থাকায় পেঁয়াজের দাম কমতির দিকে বলে জানান ব্যবসায়ীরা৷ আগামী সপ্তাহে রমজান হলেও, সে অনুযায়ী বাজার ঘুরে ক্রেতার উপস্থিতিও কম দেখা গেছে।

পেঁয়াজের বৃহৎ মোকাম হিসেবে পরিচিত খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিঞা মার্কেট কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস নিউজবাংলাকে বলেন, খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম কম। মিয়ানমারের পেঁয়াজ গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা কমেছে। ভারতের নাসিক পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৭ টাকায়।

আর বেলডাঙ্গা, কানপুর ও খাসখালির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৪ থেকে ২৫ টাকায়। বেলডাঙ্গা ও কানপুরি পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ থেকে ২ টাকা কমেছে। নাসিক পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল আছে।

তিনি আরও বলেন, বাজারে বেচাবিক্রি আছে মোটামুটি। রমজান ঘিরে আশানুরূপ ক্রেতা নেই। এ সময় খাতুনগঞ্জে যেমন তোড়জোড় থাকে সেটিও নেই। এবার ব্যবসায়ীরা লস দিয়ে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। তবে সরবরাহ আরও বাড়লে রমজানে দাম আরও কমতে পারে।

খাতুনগঞ্জের এস এফ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. ফজলুল কাদের নিউজবাংলাকে বলেন, এ বছর যুদ্ধ আতঙ্কে অনেক আমদানিকারক প্রচুর পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। চলতি মাসে প্রতি সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কমতির দিকে। ভারতীয় ও মিয়ানমারের পেঁয়াজের দুটির দামই পাইকারিতে কমেছে। এ ছাড়া আদা বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায় এবং চীন থেকে আসা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।

মেসার্স শাহাদাত অ্যান্ড ব্রাদার্সের শাহাদাত হোসেন বলেন বলেন, পেঁয়াজের বাজারে রমজানের প্রভাব নেই। অন্যান্য বছর রমজানে যে পরিমাণ কেনাবেচা হতো এ বছর তাতে ভাটা পড়েছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি ঠিক থাকলে সামনে পেঁয়াজের দাম বাড়ার তেমন কোনো আশঙ্কা নেই।

তবে বড় বড় ব্যবসায়ীদের এসব তথ্য আর দাম-দরের ধারণা সীমাবদ্ধ থাকে খাতুনগঞ্জের পাইকারি আড়তগুলোর ভেতরই। আড়তগুলোর পাশেই ভ্যানগাড়িতে একই পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০-১২ টাকা বেশি দরে। অর্থাৎ ২৫ টাকার পেঁয়াজ খুচরায় হাতবদল হচ্ছে ৩৫-৩৬ টাকা দরে।

খাতুনগঞ্জে ভ্যানগাড়ির পেঁয়াজ বিক্রেতা রইস মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের পেঁয়াজ আগের কেনা। ছোট ব্যবসায়ী আমরা তাই চাইলেই লসে বিক্রি করতে পারি না। তবুও কোনো ক্রেতা বেশি পরিমাণে কিনলে কেজিতে ২-১ টাকা কম রাখি।’

নগরীর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর এলাকার দেলোয়ার অ্যান্ড ব্রাদার্সের আবু জাহের নিউজবাংলাকে বলেন, ‘৫০ কেজির পেঁয়াজের বস্তায় খোসা ও পচা পেঁয়াজ বাদ দিয়ে নিট পেঁয়াজ থাকে ৪৭ কেজি। তাই সব মিলিয়ে পাইকারিতে দাম কমলেও একই সময়ে খুচরায় কম দামে বিক্রি করা সম্ভব হয় না। তবে সামনে খুচরাতে দাম আরও কিছুটা কমবে।’

এ বিভাগের আরো খবর