বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘুষ: নাইকোর সাবেক বাংলাদেশ প্রধানের কারাদণ্ড  

  •    
  • ২৮ মার্চ, ২০২২ ২০:১৪

দণ্ডিত কাশেম শরীফ রায় ঘোষণার সময় পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছে আদালত। আর মামলার মূল আসামি সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

ঘুষ হিসেবে কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি দেয়ায় নাইকোর বাংলাদেশ অফিসের সাবেক প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক এএসএম রুহুল ইমরান সোমবার এই রায় দেন।

এছাড়াও রায়ে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এই মামলার মূল আসামি সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন মারা যাওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

কাশেম শরীফ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক। রায় ঘোষণার সময় পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছে আদালত।

আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কোর্ট ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম নিউজবাংলাকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি চারদলীয় জোট সরকারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় এই মামলা করেন দুদকের তৎকালীন পরিচালক সাহিদুর রহমান। মামলায় কানাডার নাইকো রিসোর্সেস লিমিটেডের কাছ থেকে কোটি টাকা মূল্যের টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি, রেজিস্ট্রেশন বাবদ ২৩ হাজার ৮০৫ টাকা ও কানাডা-আমেরিকা ভ্রমণ বাবদ ৫ লাখ কানাডিয়ান ডলার ঘুষ নেয়ার অভিযোগ করা হয়।

মামলাটির এজাহারে বলা হয়, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ফেনী গ্যাসক্ষেত্র থেকে উত্তোলিত গ্যাসের ক্রয়চুক্তি (জিপিএসএ) সম্পাদনের সময় নাইকোকে সুবিধা দিতে নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফের কাছ থেকে এসব সুবিধা নেন। ঘুষ নেয়ার বিষয়ে অভিযোগ ওঠার পর ওই মন্ত্রণালয় থেকে মোশাররফ হোসেনকে সরিয়ে দেয়া হয়।

২০১২ সালের আগস্টে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। ওই বছরের ১১ অক্টোবর মোশাররফ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।

ঘটনার সময় নাইকো গ্যাসের মূল্য প্রতি হাজার ঘনফুট (এমসিএফ) ২ দশমিক ১৫ থেকে ২ দশমিক ৩৫ ডলার পর্যন্ত দাবি করে। তবে মন্ত্রীর পদত্যাগের পর গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ হয় ১ দশমিক ৭৫ ডলার। রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের (আরসিএমপি) পাশাপাশি পেট্রোবাংলাও এই দুর্নীতির অনুসন্ধান করে।

এ বিভাগের আরো খবর