বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশে উন্নত ক্লাউড সেবা দেবে হুয়াওয়ে

  •    
  • ২৮ মার্চ, ২০২২ ১৯:২৬

ক্লাউড হচ্ছে কম্পিউটিংয়ের বিশেষ সার্ভিস, যা বিশেষ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কম্পিউটার থেকে কম্পিউটার বা অন্যান্য যন্ত্রে কম্পিউটিং সার্ভিস হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ক্লাউডে তথ্য রাখলে তথ্য চুরি, হার্ড ড্রাইভ অচল হয়ে যাওয়া বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পায়।

বাংলাদেশে ডিজিটাল পাওয়ার সল্যুশন ও উন্নত ক্লাউড সেবা দিতে চায় চীনা প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে।

সোমবার দুপুরে বিশ্বব্যাপী একযোগে ২০২১ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যান জুনফ্যাং বাংলাদেশে ডিজিটাল পাওয়ার সল্যুশন ও উন্নত ক্লাউড সেবা দেয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘২৩ বছর ধরে হুয়াওয়ে বাংলাদেশে কাজ করে যাচ্ছে। এই সময়ে বাংলাদেশ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে অনেক এগিয়েছে এবং এই উত্তরণে সক্রিয় অংশ নিতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। বাংলাদেশের সামনে যে অমিত সম্ভাবনা সে ক্ষেত্রে ইনোভেশন, লোকালাইজেশন ও কলাবোরেশনের মাধ্যমে কাজ করে যেতে চাই আমরা।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ডিজিটাল পাওয়ার সল্যুশন ও উন্নত ক্লাউড সেবা দিতে হুয়াওয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করে যেতে চায়। এ জন্য সামনের দিনগুলোতেও রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট খাতে হুয়াওয়ে ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।’

ক্লাউড হচ্ছে কম্পিউটিংয়ের বিশেষ সার্ভিস, যা বিশেষ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কম্পিউটার থেকে কম্পিউটার বা অন্যান্য যন্ত্রে কম্পিউটিং সার্ভিস হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ক্লাউডে তথ্য রাখলে তথ্য চুরি, হার্ড ড্রাইভ অচল হয়ে যাওয়া বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পায়। এ ছাড়া যেকোনো স্থানে বা ইন্টারনেট সুবিধাসম্পন্ন যন্ত্র থেকে তা ব্যবহার করা যায়।

হুয়াওয়ে টেকনোলজিসের বাংলাদেশ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যান জুনফ্যাং বলেন, ‘এর মধ্যেই হুয়াওয়ের ক্লাউড সার্ভিস সারা বিশ্বে পঞ্চম এবং চীনে তৃতীয় অবস্থান অর্জন করেছে। পাশাপাশি ডিজিটাল পাওয়ার সেক্টরে কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। বাংলাদেশের ময়মনসিংহ সোলার প্লান্টে হুয়াওয়ের স্মার্ট ফটোভোলটিক সল্যুশন ব্যবহার করা হয়েছে। এই বছর বাংলাদেশে এই খাতগুলোর আরও বেশি সহযোগী হয়ে উঠতে চায় হুয়াওয়ে।

‘অন্যদিকে বাংলাদেশের আইসিটি ট্যালেন্ট তৈরিতে বেশ কয়েক বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ আইসিটি ডিভিশনের সাথে যৌথভাবে “বাংলাদেশ আইসিটি স্কিলস কম্পিটিশন” নামে একটি নতুন প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে।’

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস বাংলাদেশের পরিচালক জেসন লিজংশেং বলেন, ‘তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যৎ পৃথিবীতে দক্ষ তরুণদের অনেক প্রয়োজন তৈরি হবে। বাংলাদেশের এক দারুণ শক্তি এই দেশের তরুণ। আমরা চাই এ দেশের তরুণরা বিশ্ববাজারে নিজেদের জায়গা করে নিক এবং নিজেদের দক্ষতা, দারুণ সব আইডিয়া দিয়ে বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাক। তাই আমরা গত কয়েক বছর থেকেই এ দেশের তরুণদের আইসিটি খাতে দক্ষ করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি।’

‘২০২৫ সালের মধ্যে আমরা দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় এক লাখ তরুণকে আইসিটিতে দক্ষ করে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছি, যেখানে বাংলাদেশ থেকে অনেক তরুণ অংশ নিতে পারবে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ছয় হাজারেরও বেশি তরুণ এই সুযোগ পাবে।’

বার্ষিক প্রতিবেদনে ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটির দৃঢ়ভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি উঠে এসেছে এবং সামনে কীভাবে হুয়াওয়ে আইসিটি খাতকে সামগ্রিক কল্যাণে কাজে লাগাতে এগিয়ে আসবে সে বিষয়েও আলোকপাত করা হয়েছে।

প্রতিবেদন বলা হয়, ২০২১ সালে হুয়াওয়ের আয় হয়েছে ৮.৬৫ ট্রিলিয়ন টাকা (প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার)। নিট মুনাফা হয়েছে ১.৫৪ ট্রিলিয়ন টাকা (১৭.৮৫ বিলিয়ন ডলার)। এই অর্জন ২০২০ সালের চেয়ে ৭৫.৯ শতাংশ বেশি।

২০২১ সালে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বাবদ প্রতিষ্ঠানটির খরচ হয়েছে প্রায় ২ ট্রিলিয়ন টাকা (২২.৪০ বিলিয়ন ডলার), যা প্রতিষ্ঠানটির মোট রাজস্বের ২২.৪ শতাংশ। পাশাপাশি, বিগত ১০ বছরেরও বেশি সময়ে প্রতিষ্ঠানটির রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বাবদ খরচ হয়েছে ১১.৪৮ ট্রিলিয়ন টাকা (১৩২.৬৬ বিলিয়ন ডলার)।

এ বিভাগের আরো খবর