নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী বলেন, ‘শুরুতে আমরা তার পেটে অস্ত্রোপচার করে ওই হাড়টা বের করে নিই। তারপর সেটা টাইটেনিয়াম দিয়ে মাথায় পুনরায় প্রতিস্থাপন করেছি। প্রতিস্থাপন শেষে ক্লোজ করা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের (চমেক) শিক্ষার্থী মাহাদি জে আকিবের অস্ত্রোপচার শেষ হয়েছে। দীর্ঘ ৬ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর তাকে আইসিইউতে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অস্ত্রোপচার মূলত শুরু হয়েছে সকাল ৯টায়, শেষ হয় ৩টা ১০ মিনেটের দিকে। অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে, প্রাথমিকভাবে তাকে আইসিইউতে ২৪ ঘণ্টার অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।
‘শুরুতে আমরা তার পেটে অস্ত্রোপচার করে ওই হাড়টা বের করে নিই। তারপর সেটা টাইটেনিয়াম দিয়ে মাথায় পুনরায় প্রতিস্থাপন করেছি। প্রতিস্থাপন শেষে ক্লোজ করা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ‘আমি তাকে দেখে এসেছি। সে কথা বলছে, রেসপন্স করছে- সব ঠিকঠাক আছে। সম্পূর্ণ সার্জারিটা আমাদের অধ্যাপক এস এম নোমান খালেদ চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে হয়েছে।’
খুলি প্রতিস্থাপনের জন্য আকিবকে ২৭ ফেব্রুয়ারি চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর দুদিন পর বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে এলে পরের সপ্তাহে তার মাথার খুলির হাড় প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে সব পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে চিকিৎসারা আরও তিন সপ্তাহ অতিরিক্ত সময় নেন।
সে সময় চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘তার বেশ কিছু পরীক্ষা করা হয়েছিল। মোটামুটি সবগুলো রেজাল্টই পাওয়া গেছে।’
গত বছরের ৩০ অক্টোবর চমেকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছিরের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে আহত হন তিনজন। তাদের মধ্যে আকিবের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে চমেক হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। দীর্ঘ ১৮ দিন আইসিইউতে থাকার পর ১৮ নভেম্বর তাকে কুমিল্লার নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
আকিবের মাথায় খুলি প্রতিস্থাপনে ৬ ঘণ্টা
এ বিভাগের আরো খবর/p>