পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আরও একটি ব্যাংক গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য আকর্ষণীয় লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
প্রিমিয়ার ব্যাংক এবার নগদ ও বোনাস মিলিয়ে সাড়ে ২২ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি ১০টি শেয়ারে একটি বোনাস এবং সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ প্রতি শেয়ারের বিপরীতে ১ টাকা ২৫ পয়সা নগদ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
সোমবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
লভ্যাংশ ঘোষণার দিন ব্যাংকটির শেয়ারদর ছিল ১৭ টাকা ৪০ পয়সা। এই হিসাবে শেয়ার দরের ৭.১৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ হিসেবে পেয়ে যাবেন বিনিয়োগকারীরা। সঙ্গে বোনাস শেয়ারের টাকা অবশ্য সমন্বয় হবে।
অর্থাৎ ব্যাংকটিতে আমানত রেখে বিনিয়োগকারীরা যে হারে মুনাফা পেতে পারত, তার চেয়ে বেশি হারে মুনাফা পাবেন শেয়ারধারীরা। আমানতের সুদহার এখন সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ।
গত এক বছরে ব্যাংকটির শেয়ারদর ১০ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৮ টাকা পর্যন্ত উঠানামা করেছে।
ব্যাংকটি এবার যে লভ্যাংশ দিতে যাচ্ছে, সেটি ব্যাংকটি ২০১০ সালের পর সর্বোচ্চ। ওই বছর ৩১ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার পরের বছর ২২ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছিল ব্যাংকটি।
গত বছর ব্যাংকটি নগদ ও বোনাস মিলিয়ে লভ্যাংশ দেয় ২০ শতাংশ। এর মধ্যে বোনাস শেয়ার ছিল সাড়ে ৭ শতাংশ আর নগদ ছিল এবারের মতোই সাড়ে ১২ শতাংশ।
ব্যাংকটি গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৩ টাকা ১৫ পয়সা যা গত বছরের তুলনায় দেড় গুণেরও বেশি। আগের বছর কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করে ১ টাকা ৯৮ পয়সা।
কেবল প্রিমিয়ার নয়, এখন পর্যন্ত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যেসব ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে আইসিবি ইসলামিক ছাড়া সবগুলো আগের বছরের চেয়ে বেশি আয় করেছে। হাতে গোণা দুই একটি ছাড়া সবগুলো লভ্যাংশও বাড়িয়েছে।
আয়ের পাশাপাশি প্রিমিয়ারের সম্পদমূল্যও বেড়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ব্যাংকটির সম্পদ ছিল ১৯ টাকা ৫৬ পয়সার। এক বছর পর সেটি বেড়ে হয়েছে ২১ টাকা ৪৪ পয়সা।
যারা প্রিমিয়ারের লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে শেয়ার ধরে রাখতে হবে আগামী ২০ এপ্রিল। অর্থাৎ সেদিন হবে ব্যাংকটির লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট। এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম ডাকা হয়েছে আগামী ১৭ মে।